অবসর ভেঙে ফের ক্রিকেট মাঠে নেমে পড়লেন শচীন তেন্ডুলকর। মাথায় হেলমেট, পায়ে প্যাড পরে শচীন নেমেই প্রথম বলে হাঁকালেন চার। বুঝিয়ে দিলেন অসামান্য খেলোয়াড়েরা অসামান্যই থেকে যান। ৬ বছর বাদে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেও তাঁর চোখ, রিফ্লেক্স সবই অসাধারণভাবে কাজ করছে। শচীনের স্কিল কাজ করলেও তাঁর পরনে ছিল অস্ট্রেলিয়ার জার্সি। হবে নাই বা কেন! তিনি তো রিকি পন্টিংদের কোচ! তিনি মাঠে নেমেছিলেন ম্যাচের বিরতির সময়। আর তাও বিশ্বের মহিলা ক্রিকেটের এক নম্বর বোলারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে।
পড়ুন : দাদির জন্য বিশেষ অভিনন্দন বার্তা পাঠালেন শচীন তেন্ডুলকর
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল ছারখার করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। অগুন্তি বন্যপ্রাণের মৃত্যু হয়েছে আগুনে। জনবসতি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কত যে গাছ পুড়েছে তার হিসেব নেই। সব মিলিয়ে এক ভয়ংকর আর্থিক ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে দরকার প্রচুর অর্থের। সেই সাহায্য অর্থ তোলার জন্যই একটি চ্যারিটি ম্যাচের আয়োজন হয়েছিল। যেখানে বিশ্বের তাবড় নামকরা খেলোয়াড় অংশ নেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রায়ান লারা, ওয়াসিম আক্রম, কোর্টনি ওয়ালশ, যুবরাজ সিং প্রমুখ।
পড়ুন : ষষ্ঠ ভারতীয় হিসাবে বিরল সম্মানে সম্মানিত শচীন তেন্ডুলকর
রিকি পন্টিং ছিলেন একটি দলের অধিনায়ক। অন্য দলের অধিনায়ক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেট কিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। রিকি-র দলের কোচ হিসাবে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ইলিস পেরি। পেরি অস্ট্রেলিয়া মহিলা দলের খেলোয়াড়। বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। তাঁর প্রথম বলেই চার হাঁকান শচীন। অন্যদিকে টানটান খেলায় রিকি পন্টিংয়ের দল জেতে টাই ম্যাচে। ব্রায়ান লারা করেন ৩০ রান। পন্টিং ১৪ বলে ২৬ করেন। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস পরপর কয়েকটা ছক্কা হাঁকান। তাঁর ছেলে তখন বসে ডাগ আউটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা