বৃষ্টি ভেজা গহন জঙ্গল মাত্র কয়েক বছরেই হয়ে গেল মরুভূমি
যেদিকে দুচোখ যায় শুধু বালি আর বালি। কোথাও সবুজের কণামাত্র দেখা পাওয়া দায়। সেখানেই কিন্তু কিছু কাল আগেও ছিল ঘন জঙ্গল। হত প্রবল বৃষ্টি।
চারধারে ঘন জঙ্গল। বড় বড় গাছের ভিড়ে সূর্যের আলো ভাল করে প্রবেশ করতনা এ জঙ্গলের মাটিতে। শুধু সবুজ আর সবুজ। হবে নাই বা কেন! এ জঙ্গলে বৃষ্টি হত ঝেঁপে। যেমন আফ্রিকায় হয়ে থাকে।
প্রতিদিনই প্রায় একটা সময় বৃষ্টি নামে। যেমন রোদ, তেমন বৃষ্টি। যা গাছের বেড়ে ওঠার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করত। ফলে সবুজের অভাব ছিলনা এ অঞ্চল জুড়ে। ছোট বড় অগুনতি গাছে ভরা ছিল মাইলের পর মাইল। সেই গহন অরণ্যই এখন সাহারা মরুভূমি। ধুধু বালির প্রান্তর।
হিসাব বলছে মাত্র ৬ হাজার বছর আগেই সাহারা মরুভূমি কোনও মরুভূমি ছিলনা। ছিল বিশাল অঞ্চল জুড়ে গহন জঙ্গল।
আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সেই সবুজ বনানী ক্রমশ হারিয়ে যেতে তাকে। শুকনো হয়ে যেতে থাকে চারধার। কমতে থাকে বৃষ্টি। আর ক্রমে এক মরুভূমির চেহারা নেয় সাহারা।
বিশ্বের অন্যতম বিশাল মরুভূমি হয়ে ওঠে অচিরেই। যেখানে এখন সবুজের কণা দেখতে পাওয়াও ভার। বালির প্রান্তর আর তীব্র গরমে যেখানে হাতে গোনা কয়েকটি প্রাণি বাদে অন্য প্রাণিও নেই। আর আছে কিছু কাঁটা গাছ। এইটুকুই।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন এটাও কিন্তু থাকবেনা। আগামী ১০ হাজার বছর যদি পৃথিবী টিকে যায় তাহলে ফের আমূল বদলে যাবে সাহারার চেহারা। তা আর মরু প্রান্তর থাকবেনা।