ছানি পড়ায় ভাল দেখতে পায়না, তবে ১৯১ বছরেও খাবারে রুচি হারায়নি তার
বয়স ১৯১ হল। শরীরটা বয়সের ভারে জীর্ণ। চোখে ছানি এতটাই পুরু হয়ে পড়েছে যে ভাল দেখতে পায়না। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক তো এখন তিনিই।
এ পৃথিবীর জল বাদ দিয়ে যে স্থলভাগ রয়েছে তাতে অনেক প্রাণিই বিচরণ করে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে মানুষও পড়ে। এই যে স্থলভাগের জীবন তার মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক কে? এর উত্তর যাঁরা জানেন তাঁরা অবলীলায় বলে দেবেন জোনাথন। উত্তরটাও সঠিক। জোনাথনই এখনও বেঁচে আছে যার বয়স ১৯১ বছর হল।
তবে বয়সের ভারে এখন সে অনেকটাই জীর্ণ। কম তো হল না। ১৯১টা বসন্ত পার করা মুখের কথা নয়। এ এক ইতিহাস। চোখে অবশ্য তার ছানি বেশ পুরু হয়ে পড়েছে। ফলে ভাল দেখতে পায়না। খুব যে হাঁটাচলা করে তাও নয়।
সপ্তাহে একদিন খাবার খায়। তাতেই দিব্যি চলে যায় তার। খাবারে অবশ্য রুচি যায়নি। নিজে খেতে পারেনা। খাইয়ে দিতে হয়। খাবার বলতে কিছু ফল আর আনাজ। তাও সপ্তাহে ১ দিন। তাকে দেখভালের জন্য একটা গোটা দল কাজ করে।
এখন প্রশ্ন হল জোনাথন কে? জোনাথন হল এক প্রজাতির কচ্ছপ। সেন্ট হেলেনা দ্বীপে তার ১৯১ তম জন্মদিন পালিত হল। ১৮৮২ সালে তাকে এই সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তখন তার বয়স ছিল কমপক্ষে ৫০ বছর। বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন ১৯১ বছর সেই সূত্রে মনে করা হলেও জোনাথনের বয়স তার চেয়ে বেশি তো কম নয়।