স্টার্টিং ব্লকে দাঁড়িয়ে কেউ দেখেন শেষ প্রান্ত, কেউ বা সোনার একটা মেডেল। সজন প্রকাশ দেখেননি কিছুই। তবু সাঁতরে ছিলেন। একবারও ভাবেননি সোনা কিংবা রুপো, নিদেনপক্ষে একটা ব্রোঞ্জ জেতার কথা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে এমন লক্ষ্যহীন কেউ হয়? যখন বাড়ি ফিরে কি দেখবেন, কাদের দেখতে পাবেন না এই চিন্তা মাথায় চেপে বসে, তখন মেডেলের স্বপ্ন বোধ হয় স্বপ্নই থেকে যায়।
১৯৮৬-র পর ভারতীয় হিসাবে সাঁতারে আবার একটা ইতিহাস লিখতে পারতেন কেরালার সজন প্রকাশ। কিন্তু বাধ সাধল বন্যা। রবিবার কেরালা থেকে খবর এল সজনের দাদু, মামা, মামী ও ২ ভাইবোনের কোনও খবর নেই। এলাকায় ব্যাপক ধস নেমে নিখোঁজ সবাই। কেরালার এই বাড়িটাই সজন ও তাঁর মায়ের ঠিকানা। তাই রাতে ঘুমতে পারেননি সজন। স্টার্টিং ব্লকে তাই তিনি কোনও মেডেল দেখতে পাননি।
সজনের সাফ স্বীকারোক্তি, কেউ যখন চূড়ান্ত খারাপ কোনও পরিস্থিতির সামনে থাকে, তখন তার পক্ষে অন্তত প্রতিযোগিতায় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। ২০০ মিটার বাটারফ্লাই-এ সজন থামলেন ৫ নম্বরে। কিন্তু মনের মধ্যে এত উৎকণ্ঠা চেপে রেখেও তিনি নিজের জীবনের সেরা সাঁতার কাটলেন সোমবার। ১ মিনিট ৫৭.৭৫ সেকেন্ডে শেষ করে নিজের জাতীয় রেকর্ড ভাঙেন সজন। কুর্নিশ তাঁর লড়াইকে।