সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে, এবার কড়া ভাষায় মুখ খুললেন ধোনির স্ত্রী সাক্ষী
সহ্যেরও একটা সীমা আছে। যা অতিক্রম করে গেলে মানুষ আর চুপ করে সব সহ্য করতে পারেননা। যা হল মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনির সঙ্গে।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক এবং চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা খেলোয়াড় মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনিকে এতদিন মানুষ গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে বা ধোনির সঙ্গে সহধর্মিণী হিসাবে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখেছেন। কিন্তু তিনি যে প্রয়োজনে কতটা কড়া হতে পারেন তা এবার দেখা গেল। যা মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনও পেয়েছে। সহ্যের সীমা ছাড়ালে যে তিনি চুপ করে থাকার মানুষ নন তা সাক্ষী ধোনি দেখিয়ে দিলেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা। সেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য এখন গরমে পুড়ছে। অধিকাংশ জায়গায় ৪০ ডিগ্রির ওপর পারদ। মানুষ গরমে নাজেহাল।
এই অবস্থায় গোটা রাজ্যটা জুড়ে এখন লোডশেডিং নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিদারুণ গরমে মাথার ওপর ফ্যানটুকুও ঘুরছে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। না ঘরের বাইরে থাকা যাচ্ছে, আর না ভিতরে।
সাক্ষী ধোনি এবার এই বিষয়টি নিয়ে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে জানতে চেয়েছেন, একজন কর প্রদানকারী হিসাবে তিনি জানতে চান কেন ঝাড়খণ্ডে বছরের পর বছর ধরে এই বিদ্যুতের সমস্যা চলতেই থাকছে? তাঁরা তো সতর্কতার সঙ্গে বিদ্যুৎ বাঁচাচ্ছেন। তারপরেও কেন এমন পরিস্থিতি?
সাক্ষী ধোনির এই কড়া প্রশ্নের পর বহু মানুষ তাঁর ট্যুইটটি রিট্যুইট করেছেন। সকলেই তারিফ করেছেন তাঁর এই প্রশ্ন করাকে।
এমনকি কেউ লিখেছেন, রাঁচিতে থাকায় সাক্ষী ধোনি যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, ঝাড়খণ্ডের অন্যান্য শহরের পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ।
ঝাড়খণ্ডে এখন সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দিনের যে সময়ে লাগে সে সময় ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়। যার থেকে অনেক কম হচ্ছে উৎপাদন।
বাইরে থেকে বিদ্যুৎ এনেও সামাল দেওয়ায় ব্যর্থ সরকার। ফলে এই গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিদেনপক্ষে ফ্যানের হাওয়াও কপালে জুটছে না ঝাড়খণ্ডবাসীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা