সলমন খান যে এদিন মুক্তি পেতে পারেন তেমন ইঙ্গিত যেমন ছিল সংবাদমাধ্যমে, তেমনই সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছিল। হলও তাই। শনিবার দুপুরেই মুক্তি পেলেন বলিউড তারকা সলমন খান। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় তাঁর ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল যোধপুরের একটি আদালত। ফলে তাঁকে আদালত থেকেই গত বৃহস্পতিবার যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কার্যত নাকি নাওয়া খাওয়া ছেড়ে কাটাচ্ছিলেন সলমন খান। সে খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। অপেক্ষা ছিল যোধপুরের দায়রা আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের রায়দানের।
শনিবার সকালে বিচারক আর কে জোশীর এজলাসে শুনানি সম্পূর্ণ হয়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারক জানিয়ে দিয়েছিলেন মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পর রায় জানানো হবে। তাই হল। বিচারক ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সলমন খানের জামিন মঞ্জুর করেন। ফলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সলমন খানকে সাকুল্যে ২ দিন কাটাতে হল গারদের পিছনে।
প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন সিনেমাটির অন্য কলাকুশলী সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও তাবুকে সঙ্গে করে রাজস্থানের কাঙ্কানি গ্রামের কাছে জঙ্গলে শিকারে যান সলমন। সেখানে তিনি ২টি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন বলে অভিযোগ ছিল। ১৯ বছর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা চলে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হন সলমন। তাঁকে ৫ বছরের সাজা দেন বিচারক। বাকিদের বেকসুর খালাস করা হয়। ২ দিনের ব্যবধানে জামিনে সলমন খানও মুক্তি পেয়ে গেলেন। এছাড়াও সলমন খানের বিরুদ্ধে ৩টি চিঙ্কারা হত্যার অভিযোগে আলাদা মামলা হয়েছিল।