ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় বলিউড অভিনেতা সলমন খানের নাম উঠল ৩৯ নম্বরে। তবে সুখ্যাতিতে নয়, কুখ্যাতিতে। বন্যপ্রাণ শিকারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের তালিকায় ৩৯ নম্বরে ঠাঁই পেলেন সলমন। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সলমন খানই শেষ ব্যক্তি যিনি বন্যপ্রাণ শিকারে আদালতের সাজাপ্রাপ্ত।
১৯৯৮ সালে সিনেমার শ্যুটিংয়ে গিয়ে যোধপুরের কাঙ্কানি গ্রামে রাতের অন্ধকারে আলাদা আলাদা ২টি জায়গায় বিরল প্রজাতির ২টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ছিল সলমনের বিরুদ্ধে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় যোধপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ৫২ বছরের অভিনেতা। বিচারে সলমনের ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। ২ রাত জেলে কাটানোর পর জামিনে ছাড়া পান সল্লু মিয়াঁ। জামিন মিললেও একটা খচখচানি ফের বাড়িয়ে দিল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ওয়েবসাইট।
মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যপ্রাণ অপরাধে দোষী সাব্যস্তদের নাম প্রকাশ করে থাকে এই ওয়েবসাইট। তাদের তালিকায় রয়েছে কেউ বাঘ শিকারের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত। কেউ আবার প্যাঙ্গোলিনের ছাল, সমুদ্র ঘোটক, সাপ ও অন্যান্য বিরল প্রাণির দেহের বিভিন্ন অংশের বেআইনি পাচারকার্যে জড়িত থাকার অপরাধে যুক্ত। অভিযুক্তদের অধিকাংশই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। এহেন অপরাধীদের নামের সঙ্গে এখন জ্বলজ্বল করছে সলমন খানের নাম। যা সলমন ও তাঁর ভক্তদের জন্য নিঃসন্দেহে যথেষ্ট অস্বস্তিকর।