জমিকে কেন্দ্র করে চরমে পৌঁছল সলমন খানের সঙ্গে প্রতিবেশির ঝগড়া
একটি জমিকে কেন্দ্র করে ২ প্রতিবেশির ঝগড়া চরমে পৌঁছল। এঁদের মধ্যে ১ জন বিখ্যাত বলিউড স্টার সলমন খান। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একটি আড়াই একর জমি। আর সেই জমি ঘিরেই যত গণ্ডগোল। সলমন খানদের রায়গড়ে একটি খামারবাড়ি রয়েছে। সেখানে সলমন খান যে প্রায়ই গিয়ে থাকেন তা সংবাদে উঠে আসে। সেখানেই কদিন আগে তাঁকে সাপে ছোবল মারে।
তার লাগোয়া একটি আড়াই একর জমি রয়েছে যেখানে একটি ছোট্ট গণেশ মন্দির তৈরি করেছেন কেতন কক্কড় নামে এক ব্যক্তি। কেতনের দাবি, ১৯৯৬ সালে তিনি যখন বিদেশ থেকে ফিরে অবসর জীবনযাপনের জন্য এই পাহাড়ি সবুজ প্রকৃতির বুকে একটা জমি খুঁজছিলেন তখন তাঁকে সলমন খানের বাবা সেলিম খানের সঙ্গে একজন দেখা করান।
খান পরিবার কক্কড়কে স্বাগত জানান। তাঁকে তাঁদের জমি লাগোয়া আড়াই একর জমিরও ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে একটি গণেশ মন্দির তৈরি করেন কক্কড়।
২০১৪ সালে কেতন অবসরের পর দেশে ফিরে ওই জমিতেই একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের মত বানান। সেখানে একটি আশ্রম বানানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। যেখানে তিনি বাকি জীবনটা স্ত্রীকে সঙ্গে করে কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ২০১৯ সালে। কক্কড়ের দাবি, যে খান পরিবার খামার বাড়িতে পর্যন্ত তাঁদের স্বগত জানাত, তারা হঠাৎ ওই আড়াই একর জমিতে তাঁর ঢোকা বন্ধ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে ক্ষুব্ধ কক্কড় সাক্ষাৎকার দিতে থাকেন।
এর পাল্টা এবার সলমন খান গেলেন আদালতে। গত ৮ জানুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। যেখানে সলমন দাবি করেছেন যে ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ করে সোশ্যাল মাধ্যম ও বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হেয় করার চেষ্টা করছেন কক্কড়। অবিলম্বে তাঁকে এসব বন্ধ করে এজন্য ওই সোশ্যাল মাধ্যমেই ক্ষমা চাইতে হবে।
কেতন কক্কড় আবার পাল্টা জানিয়েছেন, তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাই তাঁরা এখন যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেখান থেকে বেশি বার হতে পারছেন না। সলমন খানদের সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা নেই। তিনি আদালতের রায়ের ওপর ভরসা রাখছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা