ভেন্টিলেশন থেকে মুক্তি পেয়ে মজার কথায় মাতলেন সলমন রুশদি
ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হল বিখ্যাত লেখক সলমন রুশদিকে। এদিকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার পর কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি।
একদিন ভেন্টিলেশনে রাখার পর অবশেষে সেখান থেকে বার করে আনা হল সলমন রুশদিকে। ভেন্টিলেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কথাও বলতে শুরু করেছেন। তাঁকে ছুরি নিয়ে আক্রমণের বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন। এমনকি কিছু মজা করেও কথা বলেছেন স্যাটানিক ভার্সেস-এর লেখক।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাহিত্যিক সলমন রুশদির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা হয় নিউ ইয়র্কের একটি সাহিত্যসভায়। তাঁর কাঁধে ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ২৪ বছরের হাদি মাতার নামে এক যুবক। তারপরই ৭৫ বছরের সলমন রুশদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকে লেখা শুরু করেন সলমন রুশদি। জীবনের প্রথম ২টি উপন্যাস পাঠকদের মন জয় করতে পারেনি। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রুশদির লেখা স্যাটানিক ভার্সেস-এর জন্য ইরান সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে। যে কোনও সময়ে তাঁকে হত্যা করা হতে পারত। সে সময় ব্রিটিশ সরকার সলমন রুশদিকে যাবতীয় রক্ষাকবচ দেয়।
১৯৯৮ সালে ইরান সরকার রুশদির ওপর থেকে মৃত্যু পরোয়ানা তুলে নেয়। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন রুশদি। কিন্তু সত্যিই কি হত্যার ফতোয়া উঠেছিল?
২০১৬ সালেও সলমন রুশদিকে হত্যার জন্য অর্থ সংগ্রহ হয়েছিল। ফলে তাঁর ওপর হামলার সম্ভাবনা ছিলই। হাদি মাতার সেই কারণেই এই হামলা চালিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা