রুশদি বেঁচে এটা মানতেই পারছেনা, তবে কেন আক্রমণ জানাল হাদি
সলমন রুশদি এখনও যে বেঁচে আছেন এটা কার্যত মেনে নিতে পারছেনা তার ওপর আক্রমণ হানা হাদি মাতার। তবে কেন আক্রমণ তা নিয়ে এবার মুখ খুলল সে।
বিখ্যাত সাহিত্যিক সলমন রুশদির ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ২৪ বছরের হাদি মাতার এটা মেনেই নিতে পারছেনা যে রুশদি ওই আক্রমণের পরও বেঁচে আছেন। সুস্থ হয়ে উঠছেন। এটা তার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। কিন্তু কেন সে হামলা চালাল? তবে কি ইরানের সেই রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি এখনও বহাল রয়েছে?
হাদি কিন্তু ইঙ্গিত দিলেও অন্য কথা বলছে। প্রসঙ্গত ১৯৮৮ সালে সলমন রুশদির লেখা স্যাটানিক ভার্সেস ইসলাম বিরোধী বলে ঘোষণা করে ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহোল্লা খোমেইনি রুশদির বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এরপর প্রাণ বাঁচাতে প্রথমে ইউরোপ এবং পরে আমেরিকায় আশ্রয় নেন রুশদি।
১৯৯৮ সালে এই পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেয় ইরান। কিন্তু সত্যিই কি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাহিত্যিক সলমন রুশদির ওপর থেকে ফাঁড়া কেটেছিল? হাদি মাতারের আক্রমণের পর সেই প্রশ্ন উঠছে।
হাদি অবশ্য দাবি করেছে সে একেবারেই সলমন রুশদিকে পছন্দ করেনা। তাঁকে কার্যত সহ্যই করতে পারেনা সে। তাই এই আক্রমণ।
কিন্তু এই আক্রমণ কি সেই ইরানের ফতোয়ার কথা মাথায় রেখেই করা? এ প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দেয়নি হাদি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেলবন্দি হাদি গারদের পিছন থেকেই একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে সে আয়াতুল্লাহ রুহোল্লা খোমেইনি-কে খুবই পছন্দ করে। এর বেশি কিছু বলতে চায়নি সে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা