স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে ৫ বছর জেলে কাটাতে হয় স্বামীকে
নানা দেশে নানা আইন। যেমন এই বিশ্বেই এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে স্বামীকে ৫ বছর জেলে কাটাতে হয়।
আইন এক এক দেশে এক এক রকম। এমনও কিছু আইনের কথা শোনা যায় যা বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দেয়। তেমনই একটি আইন হল স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে স্বামীর সাজা ভোগ।
বিষয়টি শুনতে একটু মজার শোনালেও এ দেশে বিষয়টি যথেষ্ট গর্হিত অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই সাজাও বেশ কঠোর। ৫ বছর পর্যন্ত হাজতে কাটাতে হতে পারে স্বামীকে। দোষ একটাই, স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া।
স্ত্রীর জন্মদিন স্বামী ভুলে গেলে স্ত্রী বিষয়টি পুলিশকে জানাতে পারেন। এলাকায় স্ত্রীদের এই অভিযোগ শোনার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী রয়েছে। তারা অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
নিয়ম হল স্ত্রী অভিযোগ করার পর খতিয়ে দেখা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওটাই প্রথমবার স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া কিনা। যদি দেখা যায় তিনি এই প্রথম স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলেন, তাহলে তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যেন এমন ভুল না হয় তাও জানিয়ে দেওয়া হয় স্বামীকে।
কিন্তু দ্বিতীয়বার এমন ভুল ফের করলে তখন ওই স্বামীকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে ২ ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। এমন হতে পারে যে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হল অথবা রয়েছে ৫ বছর পর্যন্ত কারাবাসের বিধান। কি শাস্তি হবে তা বিচারকের ওপর নির্ভর করছে।
যাতে দেশের সব বিবাহিতা মহিলা এই আইন সম্পর্কে সজাগ হন এবং প্রয়োজনে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য একটি দল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়া জুড়ে প্রচারও করে বেড়ায়। সামোয়ায় তাই অন্য কিছু ভুলে গেলেও ভুলেও স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে চলবে না স্বামীদের। নাহলেই কারাবাস।