শ্রীকৃষ্ণ কোথায় পড়াশোনা করেছেন দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে
মহাকাব্যের মতে এখানেই শ্রীকৃষ্ণ পড়াশোনা করেছিলেন। অধ্যয়ন করেছিলেন গুরুর কাছে। যে স্থান দর্শন করতে আজও মানুষ ছুটে আসেন দূরদূরান্ত থেকে।
শ্রীকৃষ্ণ মানবরূপে বিশ্বে আসার পর এটা মনে করা হয় মানুষের মতই তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় কাটিয়েছেন। যেমন অধ্যয়ন কালে তিনি পড়াশোনাও করেছেন। গুরুর কাছে পড়তেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন তাঁর দাদা বলরাম এবং তাঁর বন্ধু সুদামা।
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ কার কাছে পড়াশোনা করেছিলেন? মহাকাব্যের মতে, শ্রীকৃষ্ণের গুরু ছিলেন মহর্ষি সন্দীপনী। তাঁর আশ্রমেই শ্রীকৃষ্ণের পড়াশোনা। মনে করা হয় মহর্ষি সন্দীপনী ছিলেন খুব পণ্ডিত ব্যক্তি।
পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণের এই গুরুর আশ্রম হয়ে উঠেছে এক দর্শনীয় স্থান। এক পুণ্য ভূমি। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসেন।
এই সন্দীপনী আশ্রম এক বিশাল চত্বর জুড়ে তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে রয়েছে এই আশ্রম। আশ্রমের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শিপ্রা নদী। মধ্যপ্রদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই আশ্রম।
আশ্রমের মধ্যে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুদামার মূর্তি। একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। যা কয়েক হাজার বছর প্রাচীন বলে মনে করা হয়। আর রয়েছে মহর্ষি সন্দীপনীর একটি মন্দির।
এখানে এলে একটি জলাশয় অবশ্যই দর্শন করেন পর্যটকেরা। ভরে নিয়ে যান সেই জলাশয়ের পবিত্র জল। কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর গুরুর জন্য বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রের পবিত্র জল এই জলাশয়ে এনে জমা করেছিলেন। যাতে তাঁর গুরুর যে কোনও স্থানের পবিত্র জল পেতে কোনও অসুবিধা না হয়। এই জলাশয় গোমতী কুণ্ড নামে পরিচিত।