তাসের দেশে আচমকাই জন্ম নিয়েছিল স্যান্ডউইচ
স্যান্ডউইচ এখন বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষেরই প্রিয় খাবার। সেই স্যান্ডউইচ কিন্তু প্রথম জন্ম নিয়েছিল নেহাতই আচমকা। সে কাহিনি দারুণ চমকপ্রদ।
স্যান্ডউইচ অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবারগুলির একটি। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণায় এই খাবারটি পাওয়া যায়। দোকানেও পাওয়া যায়। বাড়িতেও অনেকে বানিয়ে নেন। চট করে পেট ভরানো স্বাস্থ্যকর খাবার স্যান্ডউইচ। বিশ্বের এই অন্যতম জনপ্রিয় খাবারটির জন্ম কিন্তু হয়েছিল আচমকাই।
সে কাহিনি জানতে পিছিয়ে যেতে হবে ১৭৬২ সালে। ব্রিটেনে জন মন্টাগু নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। যিনি তাস খেলতে ভালবাসতেন। শুধু ভালবাসতেন বলাটা ভুল হবে। তাস ছিল তাঁর নেশা।
একদিন তিনি সেই তাস খেলাতেই মত্ত ছিলেন। তাসের টেবিলে তখন টানটান উত্তেজনা। এরমধ্যেই মন্টাগুর খিদে পেয়েছে। কিন্তু খাবার খেতে তাসের টেবিল থেকে তিনি কিছুতেই আর উঠে যেতে পারছিলেননা। এমনই অমোঘ টান।
তাই মন্টাগু সেই দোকানের এক কর্মীকে বলেন তাঁকে যেন একটি পাউরুটির মধ্যে কিছু মাংসের টুকরো দিয়ে তিনি দিয়ে যান। ওটা খেলে পেটও ভরবে। আবার হাত ধোয়ার ঝামেলা থাকবেনা। পাত পেড়েও খেতে হবেনা।
সেইমত মন্টাগুকে একটি পাউরুটির মধ্যে কিছু রান্না করা মাংসের টুকরো দিয়ে দিয়ে যান দোকানের কর্মী। সেই যে এক নতুন খাবারের জন্ম হল তা জনপ্রিয় হতে সময় নিল না।
এ খাবারের সুবিধা হল এটি সুস্বাদু। চট করে পেট ভরায়। কোনও ঝামেলা নেই খাবারটা তৈরি করতে। এই খাবার খেতে থালা বাসনের প্রয়োজন পড়েনা।
ঝাড়া হাতপা হয়ে নিশ্চিন্তে এই খাবার খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। সেই জন্ম নিল স্যান্ডউইচ। তারপর থেকে আজও স্যান্ডউইচের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি।