অ্যাকাডেমি রত্ন পুরস্কার বা সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ফেলো সম্মান পাচ্ছেন ৪ জন। এই সম্মান খুব কম শিল্পীই পেয়ে থাকেন। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি এই বিরল পুরস্কারের জন্য ৪ জনের নাম ঘোষণা করেছে। পুরস্কার পাচ্ছেন, বিশিষ্ট তবলা বাদক জাকির হোসেন, ভারতনাট্যম নৃত্যশৈলীর শিল্পী কে কল্যাণাসুন্দরম পিল্লাই, নৃত্যবিদ সোনাল মানসিং এবং নৃত্যবিদ ও কোরিওগ্রাফার যতীন গোস্বামী।
গত ২৬ জুন গুয়াহাটিতে বৈঠকে বসে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। সেখানেই এই ৪ জনের নাম চূড়ান্ত হয়। অ্যাকাডেমিতে একই সময়ে ৪০ জনের বেশি সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ফেলো থাকতে পারবেন না। এটাই সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি-র নিয়ম। ফলে ফেলো করার জন্য যথেষ্ট ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এটি একটি বিরলতম সম্মান। খুব কম শিল্পীই এই বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ফেলো ছাড়াও ২০১৮ সালের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য ৪৪ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। মিউজিক-এর ক্ষেত্রে পাচ্ছেন ১১ জন। এই তালিকায় ২ জন বাঙালির জায়গা হয়েছে। সন্তুর বাদক হিসাবে তরুণ ভট্টাচার্য ও সরোদ বাদক হিসাবে তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার পাচ্ছেন সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। নৃত্যশৈলীর ক্ষেত্রে ৯ জনের নাম রয়েছে তালিকায়। এই তালিকাতেও ২ বাঙালি রয়েছেন। ওড়িশি নৃত্যশৈলীর জন্য সুরূপা সেন ও সমসাময়িক নৃত্যশৈলীর জন্য দীপক মজুমদার এই পুরস্কার পাচ্ছেন।
থিয়েটারের ক্ষেত্র থেকে ৯ জনকে ২০১৮ সালের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় বাঙালিদের মধ্যে মূকাভিনয়ের জন্য জায়গা হয়েছে স্বপন নন্দী-র। পল্লীগীতি, আদিবাসী সঙ্গীত, পল্লীগ্রামের নাটক ও পুতুল খেলার থেকে এবার ১০ জন শিল্পীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় অবশ্য কোনও বাঙালির নাম নেই। পারফর্মিং আর্টসের ক্ষেত্রে বিশাল অবদানের জন্য ২ জনকে বেছে নিয়েছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। তাম্রপত্র, অঙ্গবস্ত্র ও ১ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রত্যেককে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হাতে তুলে দেবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৫২ সাল থেকে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার চলে আসছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা