গত বছরই তাঁর স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। সেরেও ওঠেন। সেই লড়াই জেতার পর এ বছর তিনি ঠিক করেছিলেন ফের নামবেন ইংলিশ চ্যানেলে। কারণটা পরিস্কার। এর আগে ৩ বার তিনি না থেমে টানা সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল পার করেছেন। ৩ বার এই বিরল কীর্তি স্থাপন করেছেন আরও ৪ জন। তাই কোথাও গিয়ে নিজেকে এঁদের থেকে আলাদা করে একদম নিজস্ব রেকর্ড গড়তে চাইছিলেন সারা থমাস।
৩৭ বছরের মার্কিন নাগরিক সারা স্তন ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার পরই ঠিক করেছিলেন তিনি ফের ইংলিশ চ্যানেল পার করবেন। সেইমত নিজেকে তৈরি করে নেন। তারপর চতুর্থ বারের জন্য নেমে পড়েন ইংলিশ চ্যানেলের নোনা জলে। গত রবিবার জলে নামেন তিনি। তারপর টানা ৫৪ ঘণ্টা সাঁতার। ৫৪ ঘণ্টা নোনা জল, বিশাল ঢেউ, পদে পদে প্রতিকূলতাকে জয় করে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টায় পাড়ে ওঠেন সারা। আর সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন বিরল রেকর্ড।
জল থেকে ওঠার পর সারা জানান তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তিনি এটা করে দেখিয়েছেন। তবে তাঁর কৃতিত্বের পিছনে তাঁর সঙ্গীদের অকুণ্ঠ সমর্থন, সাহায্য ও উৎসাহ রয়েছে বলে মেনে নেন সারা। এই মুহুর্তে তিনিই বিশ্বের একমাত্র মহিলা যিনি ইংলিশ চ্যানেল ৪ বার না থেমে টানা পার করেছেন। তবে এবার টানা নোনা জলে থেকে তাঁর গলা ও মুখে ঘায়ের মত হয়ে গেছে। প্রায় শেষ পর্বে পৌঁছে অতিকায় ঢেউয়ের ঝাপটাও তাঁকে প্রবল লড়াই করে সামলাতে হয়েছে বলে জানান সারা।
প্রসঙ্গত ইংল্যান্ডের দক্ষিণভাগ ও ফ্রান্সের উত্তরভাগের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ইংলিশ চ্যানেল। যা উত্তর সাগরের দক্ষিণভাগকে জুড়ে দিয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে। ইংলিশ চ্যানেলকে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচলের পথ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা