সরস্বতী পুজো মানেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ। প্যান্ডেল সাজানো থেকে ঠাকুর আনা, ফুল-ফল কেনা থেকে পুজোর অন্য খুঁটিনাটি সরঞ্জাম জোগাড় করা। কোনও কিছুতেই উৎসাহের খামতি নেই। শহর জুড়ে প্রতি বছরই এই ছবি ফিরে ফিরে ধরা পড়ে। এবার শনিবার থেকেই শুরু সরস্বতী পুজো। রবিবার সকাল প্রায় ১০টা পর্যন্ত তিথি থাকায় অনেকে আবার রাতের পর ভোর মেনে রবিবারও পুজো করবেন।
তিথি মেনে ২ দিনই সুযোগ রয়েছে পুজোর। সুবিধামত তাই সকলে সাজিয়ে নিয়েছেন কবে পুজো করবেন। বাড়ি থেকে স্কুল, ক্লাব থেকে কোচিং। সর্বত্র তাই শুক্রবার বিকেল নামতেই সাজো সাজো রব। বাজার থেকে পছন্দ করে পকেট মেপে সরস্বতী কিনে খবরের কাগজে প্রতিমার মুখ ঢেকে রিক্সা, ভ্যানে আনা হয়েছে পুজোর জায়গায়। যেখানে পুজো হবে সেখানটা ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে প্যান্ডেল করা হয়েছে। ক্লাব বা স্কুলে ডেকরেটার দিয়ে প্যান্ডেল হয়েছে। বাড়িতে বা কোচিং বা ছোটদের ক্লাবে নিজেরাই হাত লাগিয়ে তৈরি হয়েছে রঙিন প্যান্ডেল।
এবার অবশ্য ঠাকুরের দাম বেশ চড়া। তবে এই চড়া ব্যাপারটা প্রতি বছরই থাকে। তাতে পুজো আটকায় না। পকেট বুঝে সেইমত ঠাকুরের সাইজ ঠিক হয়। তারপর দরদস্তুর করে কেনা। একইভাবে ফুল, ফলের দামও তুঙ্গে। তুঙ্গে সরস্বতী পুজোর উপকরণের দাম। তারমধ্যেই বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বাজারে উপচে পড়া ভিড়। ভিড় উপেক্ষা করেই চলছে কেনাকাটা। এটাই বাঙালির চিরাচরিত উৎসবের প্রাণভোমরা। এটাই আনন্দ। যার জন্য সারা বছরের অপেক্ষা।