শনিবারই তিথি পড়ে গিয়েছিল। ফলে ওইদিন থেকেই শুরু হয়েছিল পুজো। শনিবার বাড়ির পুজো কমই হয়েছে। হয়েছে স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার, পাড়ার ক্লাবের পুজো। ফলে শনিবার সকাল থেকেই তারুণ্যের ভিড়ে শহরের রাস্তাঘাট ছিল রঙিন। নতুন শাড়ি বা পাঞ্জাবীতে কিশোর-কিশোরী থেকে তরুণ-তরুণী সকলেই যেন এদিন মেতে উঠেছিলেন অন্য আনন্দে। যে ছবি কার্যত ফি বছরই সরস্বতী পুজোয় নজর কাড়ে।
এবার আবার তিথি এমন যে শনিবার বা রবিবার সকালে পুজো সম্ভব। ফলে রবিবারও পুজো হয়েছে ঘরে ঘরে। যেহেতু সকালে দ্রুত তিথি ছেড়ে যাচ্ছে তাই কাকভোরে আলো ফোটা থেকেই শুরু হয় পুজো। ঘরে ঘরে বাজতে থাকে কাঁসর, ঘণ্টা, শাঁখ। শোনা যায় উলুধ্বনি, মন্ত্রোচ্চারণ। পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্র আর ভক্তের কোরাসে মুখরিত হয়ে হয়ে ওঠে রবিবারের সকাল।
বাড়ির পুজো প্রায় সবই এদিন হয়েছে। নিবেদিত হয়েছে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে নারকেল কুল। সরস্বতীর কাছে বইখাতা জমা রেখে এই নো পড়ার দিনে সকালেই পুজো সেরে শুরু হয় আনন্দ। অনেক বাড়িতে এদিন আত্মীয়, বন্ধুরা আমন্ত্রিত থাকেন। ফলে সেটা একটা মজা। এদিন সকলে মিলে সিনেমা দেখা, বসে গল্পে মেতে ওঠা আর নো লিমিট আনন্দের দিনে অন্তাক্ষরী। খুনসুটি, আড়চোখের প্রথম ইনফ্যাচুয়েশন সব মিলিয়ে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে মেতে রইল আপন ছন্দেই।
এবার বইমেলা পড়েছে সরস্বতী পুজোর মধ্যে। তায় আবার রবিবার। ফলে সকালে বইমেলার দরজা খোলার পর থেকই করুণাময়ীর মোড়ে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে। প্রধানত ভিড় তারুণ্যের। বইমেলায় বই কেনাই শুধু নয়, একটা মেলায় ঘোরার আনন্দটাও চুটিয়ে উপভোগ করার সুযোগ থাকে। আর সেই সুযোগটা এদিন চেটেপুটে উপভোগ করেছে এই শহরের নব্য প্রজন্ম।