মা সরস্বতীর বিশেষ দিনকে পালন করতেই হয় সরস্বতী পুজো
মা সরস্বতী হলেন বিদ্যার দেবী। সুরের দেবী। প্রতিবছর সরস্বতী পুজো ধুমধাম করে পালিত হয়। এই দিনটি কিন্তু মা সরস্বতীর বিশেষ দিন।
বিদ্যার দেবী, সুরের দেবী সরস্বতী। প্রতিবছর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান, কোচিং, ক্লাব, বাড়িতে সরস্বতী আরাধনা ধুমধাম করে পালিত হয়। পড়ুয়াদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ সরস্বতী পুজোয়। এবার সরস্বতী পুজো একটু দেরিতে। অনেকের পরীক্ষার মুখে পড়েছে পুজো।
তবু উৎসাহে খামতি নেই। এই সরস্বতী পুজোয় বাগদেবীর আরাধনা হয়। কিন্তু কেন হয়? এর কারণ লুকিয়ে আছে মা সরস্বতীর এক বিশেষ দিনকে পালন করার মধ্যে।
কথিত আছে মা সরস্বতীর জন্মদিন উপলক্ষেই সরস্বতী পুজো পালিত হয় সর্বত্র। এই দিনটা মা সরস্বতীর জন্মদিন। মনে করা হয় সারা বিশ্বকে স্বর দিয়েছিলেন মা সরস্বতী।
এই সরস্বতী পুজোর আরও এক মাহাত্ম্য রয়েছে। মনে করা হয় সরস্বতী পুজো দিয়েই শুরু হয় বসন্তকাল। এবছর তা যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। কারণ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বসন্তকাল মানে ফাল্গুন ও চৈত্র মাস।
সরস্বতী পুজো এবার পয়লা ফাল্গুন পড়েছে। মানে বসন্তের শুরু। তাই যা মনে করা হয় ক্যালেন্ডার মেনেই তা মিলেছে এবার। বাংলায় সরস্বতী পুজোর পর থেকেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসে বলে মনে করা হয়।
শীত বিদায় নিয়ে বসন্তের দখিনা বাতাস ক্রমে চারধার ভরিয়ে তোলে। ফুলে, ফুলে ভরে ওঠে চারধার। আর বসন্ত আগমনকে হলুদ ফুল দিয়ে চিত্রিত করা হয়। তাই সরস্বতী পুজোয় হলুদ ফুলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।