বাঙালি যেখানে উৎসব সেখানে। কাঁকুড়গাছি ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সরস্বতী বন্দনার মহাযজ্ঞে সেই উৎসবের আমেজ প্রতিবারের মতই অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবারেও। বিদ্যাদাত্রীর আদরযত্নে কোনও ফাঁকফোকর রাখেননি পুজো কমিটির সদস্যরা। নিয়ম মেনে আরাধনার পাশাপাশি ৩ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু আয়োজনে নিজেদের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
বাংলা সংস্কৃতি ও ধর্মের লালনভূমি। সেই পুণ্যধামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ যুগপুরুষ রাধাকৃষ্ণের যুগ্ম ছদ্ম অবতার শ্রীচৈতন্যদেব ভক্তিসাগরে ভাসিয়েছিলেন আপামরবঙ্গবাসীকে। দেবী সরস্বতীও তো তাঁর ভাণ্ডার থেকে বিদ্যা, বুদ্ধি, শিল্পকলার প্রসাদ বিতরণ করে থাকেন বরপ্রার্থীদের মধ্যে। তাই পূর্ব কোলকাতার অন্যতম নামকরা সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণের ভাবনায় মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে ভক্তি, শক্তি ও জ্ঞানের ত্রিস্রোত। সেই মনোমুগ্ধকর থিমের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন আবালবৃদ্ধবনিতা।
সরস্বতী পুজোর সন্ধে থেকে রাত, আলোকিত মণ্ডপের সামনে দেবীদর্শনের উন্মাদনা যেমন ছিল চোখে পড়ার মত, তেমনি লাইন দিয়ে উষ্ণ খিচুড়ি-আলুরদম বোঁদের চেটেপুটে স্বাদ নেবার খামতি দেখা যায়নি ভক্তদের মধ্যে। রাস্তার ধারে মঞ্চ বেঁধে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে নামীদামী একঝাঁক শিল্পী এনে বা এলাকার সম্ভাবনাময় প্রতিভাদের সুযোগ করে দিয়ে বহুবছর ধরে সরস্বতী বন্দনায় নিজেদের সুনাম বজায় রেখে চলেছে স্বপন সমাদ্দারের পুজো হিসাবে পরিচিত কাঁকুড়গাছি ইয়ং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই পুজো। আগামী বছরগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির চোখরাঙানি উপেক্ষা করেও জ্ঞানদাত্রী দেবীর পুজো ও উৎসবের সুনাম ধরে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পুজোর আয়োজকরা।