চলে গেলেন বিশিষ্ট কোরিওগ্রাফার সরোজ খান
প্রয়াত বহু সুপারহিট গানের কোরিওগ্রাফির সরোজ খান। বলিউডে শোকের ছায়া।
মুম্বই : ঋষি কাপুর, ইরফান খান, সুশান্ত সিং রাজপুতের পর ফের বলিউডে মৃত্যুর খবর। চলে গেলেন বহু সুপারহিট গানের কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। রাত দেড়টায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। গত মাসে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়েছিল তাঁর। তারপরই তাঁকে গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সেখানে করোনা পরীক্ষাও হয়। যদিও করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
শ্রীদেবী থেকে মাধুরী দীক্ষিত থেকে অনেক নায়িকা বলিউডে তাঁদের অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের জন্য বিখ্যাত হয়ে থাকবেন। আর সেসব নাচের স্রষ্টা হয়ে বেঁচে থাকবেন সরোজ খান। ৩ বার সেরা কোরিওগ্রাফার হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জেতেন তিনি। ২০০৩ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমায় ‘ডোলা রে ডোলা’ গানের জন্য পান সেরা কোরিওগ্রাফারের পুরস্কার। ২০০৬ সালে পান তামিল সিনেমা ‘সিংহম’-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার। এরপর ২০০৮ সালে করিনা কাপুরের ‘জব উই মেট’ সিনেমায় কোরিওগ্রাফি করে পান তৃতীয় জাতীয় পুরস্কার।
১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ সিনেমায় কোরিওগ্রাফি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি সরোজ খানকে। ‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘এক-দো-তিন’, ‘ধক ধক করনে লাগা’-র মত গানে তাঁর কোরিওগ্রাফি তাঁকে মানুষের মনে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে। কার্যত কোরিওগ্রাফিতে বলিউড কিংবদন্তীকে পরিণত হয়েছিলেন সরোজ খান। গত বছরও মাধুরী দীক্ষিতের ‘কলঙ্ক’ সিনেমার কোরিওগ্রাফি করেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা