শাশুড়ি বৌমা মন্দির দেখতে আজও ছুটে যান অনেকে, কেন এমন নাম এ মন্দিরের
মন্দিরের নাম শাশুড়ি বৌমা মন্দির। এটা শোনার পরই অনেকের মনে কৌতূহল জাগে কেন এমন নাম। অকারণে নয়। নামের পিছনে কারণ রয়েছে।
মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১০৯৩ সালে। তৈরি করেছিলেন রাজা মহীপাল। মন্দিরটির শিল্পশৈলী সে সময়কার মন্দির শৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ৩ তলা মন্দিরের কারুকার্য বেশ চিত্তাকর্ষক। ভগবান বিষ্ণুর মন্দির হিসাবে পরিচিত এই শাস বহু মন্দির বা শাশুড়ি বৌমা মন্দির।
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের গোয়ালিয়র দুর্গে এই মন্দির অবস্থিত। মন্দিরের শিল্পশৈলীতে হিন্দু ও জৈনধর্মের শিল্প কীর্তির ছাপ স্পষ্ট। মন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে শাস বহু মন্দির নামে বিখ্যাত।
এই শাস বহু মন্দির নামকরণের পিছনে কারণ হল মন্দিরের ধরণ। মন্দিরটি আদপে জোড়া মন্দির। ২টি মন্দির রয়েছে গায়ে গায়ে। একটি বড়, অন্যটি ছোট। বড়টিকে শাস মন্দির এবং ছোটটিকে বহু মন্দির বলা হয়। বহু মন্দিরটি আকারে ছোট এবং ১ তলা। তবে ২টি মন্দিরের অন্দরের শিল্পে বহু মিল রয়েছে।
যদিও এই শাস বহু বা শাশুড়ি বৌমা মন্দির এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। এই মন্দির তৈরির পর থেকে নানা সময়ে এই মন্দির আক্রমণের শিকার হয়েছে। ফলে মন্দির এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে।
বহু মন্দিরটি তো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে বলা যায়। শাস মন্দিরটি এখনও কিছুটা হলেও দেখার মত রয়েছে। মন্দিরের মাথার স্তম্ভটিও ধ্বংসপ্রাপ্ত।
তবে এর নামের জন্য এখনও অনেকে এই মন্দিরটি দেখতে হাজির হন এখানে। স্থানীয়দের কাছে জানার চেষ্টা করেন মন্দিরের সঙ্গে জড়িত নানা কাহিনি। কেন এই মন্দিরের নাম শাশুড়ি বৌমা মন্দির হল তাও জানতে চান পর্যটকেরা।