৩০ বছর ধরে টয়লেটে সিঙ্গারা রাঁধছিল রেস্তোরাঁ, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি গ্রাহকরা
গ্রাহকদের অন্ধকারে রেখে টয়লেটে রান্না করে চলছিল একটি রেস্তোরাঁ। টয়লেটে রান্না করার পর সেই খাবারই গ্রাহকদের পরিবেশন করা হত। যা অবশেষে সামনে এল।
যে কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে অর্ডার দেওয়া খাবার সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হয়। পরিবেশন করেন সুভাষী ওয়েটার। তাও যথেষ্ট কেতাদুরস্ত ভাবে। যা খাবার আগেই গ্রাহকের মন ভাল করে দেয়।
কিন্তু গ্রাহকরা খাবারটা খান। কেউ ভেবে দেখেননা কীভাবে তা রান্না করা হয়েছে। অথবা তা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত করে রান্না করা হয়েছে কিনা।
গ্রাহকদের এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে গত ৩০ বছর ধরে তাদের রান্নাবান্না একটি টয়লেটে করছিল একটি রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁটি একটি আবাসনের তলায়।
প্রধানত জলখাবারের সুস্বাদু রান্নার জন্য রেস্তোরাঁটি বিখ্যাত। অনেকেই সেখানে সামোসা খেতে আসতেন। সম্প্রতি একটি গোপন সূত্রের খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়।
খবর পাওয়ার পরই পুলিশ এসে হানা দেয় ওই রেস্তোরাঁয়। দেখা যায় রান্না হচ্ছে টয়লেটের মধ্যে। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে রান্না হচ্ছে।
পুলিশের অবশ্য অবাক হওয়ার বাকি ছিল। তারা যখন রেস্তোরাঁর কাঁচামাল পরীক্ষা করে তখন দেখা যায় মাংস প্রায় পচে গেছে। অনেক খাবার ২ মাস আগেই তার খাবার যোগ্য সময়সীমা পার করেছে। এমনকি অনেক মাংস থেকে পোকা বার হচ্ছে। সেটাই রান্না করে গ্রাহকদের খাওয়াত ওই রেস্তোরাঁ।
ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবের জেড্ডা শহরে। পুলিশ রেস্তোরাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে পুলিশ। এর আগেও সৌদি আরবে একটি রেস্তোরাঁর তৈরি মাংসে ইঁদুরের মুখ দেওয়ার ছবি সামনে আসে। যা তখন হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল।