এমন উট কেউ কখনও দেখেননি, পাহাড়ের গায়ে তেমন উটের আবিষ্কার
উট তো সবাই দেখেছেন। কিন্তু সে উটের চেহারার সঙ্গে এ উটের চেহারার কোনও মিল নেই। বরং এ উট অতিকায় চেহারার। গায়ে অনেক লোম। নামও নেই এই উটের।
পাহাড়ের গায়ে ভাল করে নজর করলে তবেই তার দেখা মেলে। আবার ভাল করে নজর করার পর সারি দেওয়া পাহাড়ের অনেকগুলিতেই এ উটের দেখা মেলে। পাহাড়ের গায়ে কোনও ছবি নেই তার। কোথাও রয়েছে পাহাড়ের গায়ে দাঁড়ি টানার মত করে কেটে উটের চেহারা। অথবা পাহাড় কেটে উটের চেহারা ফুটিয়ে তোলা।
এ এক অদ্ভুত শৈল্পিক নিদর্শন। যা দেখে গবেষকেরাও অবাক হয়েছেন। কারণ সৌদি আরবের যে প্রান্তরে পাহাড়ের সারিতে এই উটের দেখা মিলেছে সেখানে এমন শিল্প বড় একটা দেখা যেত না।
উটগুলি প্রাগৈতিহাসিক বলে মেনে নিচ্ছেন গবেষকেরা। যার কোনও নামকরণও করেননি বিজ্ঞানীরা। বিশাল তাদের পা। সারা গায়ে প্রচুর লোম। যা হয়তো তাদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করত। অতিকায় তাদের চেহারা।
এমন চেহারার উট এখন আর নেই। গবেষকেরা এই উটের স্থাপত্য পরীক্ষা করেও সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না এই কাজ ঠিক কোন সময়ে করা হয়েছিল। তবে আন্দাজ করা হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার বছর আগে এ কাজ করা হয়ে থাকতে পারে।
এমনকি এই এলাকায় খনন চালিয়ে পাওয়া যাওয়া নানা হাড়ের জীবাশ্ম পরীক্ষা করেও গবেষকেরা দেখছেন এমন কোনও উটের ওই অঞ্চলে ঘোরাফেরা ছিল কিনা। তাদের শিল্প যখন সামনে এসেছে, তখন তাদের কেউ তো দেখেছেন।
তবেই তো তা স্থাপত্যে জায়গা পেয়েছে। হতে পারে পাহাড়ের গায়ে এই উটের নিদর্শন একটু অন্যরকম। তবে বিজ্ঞানীরা এর আসল রহস্য খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।