সময়মত গাড়িতে ঢুকে পড়তে না পারলে সবুজ অভিনেতার বড় বিপদ হতে পারত
গাড়িটা কাছেই ছিল। সময়মত তিনি সেই গাড়িতে উঠেও যান। তারপর গাড়ির জানালার কাচের দিকে চেয়ে থাকেন। গাড়িটা না থাকলে যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারত।
তিনি পেশায় অভিনেতা। সফল অভিনেতা। যেমন চুটিয়ে বলিউড সিনেমায় নিজের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে তাঁর, তেমনই তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমা করেছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেতা আবার প্রকৃতিপ্রেমী মানুষও। সবুজ রক্ষায় তিনি সময় পেলেই কাজ করেন।
পুনে বেঙ্গালুরু হাইওয়ে তৈরি করার সময় রাস্তাটি চওড়া করার জন্য অনেক গাছ সরানো হয়েছে। এখন তো পূর্ণাঙ্গ গাছকেও এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লাগানো হয়। তিনি ও তাঁর সঙ্গে সবুজ রক্ষায় ব্রতী কয়েকজন হাজির হয়েছিলেন এমনই কয়েকটি গাছকে অন্যত্র ফের পুঁতে দেওয়ার জন্য।
তাসওয়াড়ে নামে একটি জায়গায় প্রকৃতির কোলে তিনি এমনই একটি গাছকে অন্যত্র রোপণ করার চেষ্টা করছিলেন। এদিকে সেই গাছেই ছিল একটি বড় মৌচাক।
গাছটি অন্যত্র রোপণ করার জন্য সেটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনওভাবে মৌচাকের মৌমাছিরা বিরক্ত হয়। ফলে তারা ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসে।
মৌমাছির ঝাঁক আক্রমণ করে অভিনেতা ও তাঁর সঙ্গীদের। এমন অগুন্তি মৌমাছি ছেঁকে ধরে হূল ফোঁটাতে শুরু করলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারত। এমনকি প্রাণ সংশয়ও।
বেগতিক বুঝে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা। গাড়ির কাচ তোলা ছিল। সেই কাচ দিয়েই তাঁরা লক্ষ্য রাখেন কখন মৌমাছির ঝাঁক শান্ত হয়ে এলাকা ছাড়ে।
অবশ্য প্রকৃতিপ্রেমী ৬৪ বছর বয়সী অভিনেতা সায়াজী শিণ্ডে মৌমাছিরা চলে যেতেই ফের নেমে পড়েন গাড়ি থেকে। তারপর ফের কাজে লেগে পড়েন। গাছটিকে নতুন জায়গায় বসিয়ে তবেই ফেরেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা