গল্পের রাজাকে সত্যি করে দিল স্বর্ণমুদ্রা
গল্পে বলা এক রাজাকে এবার একটি স্বর্ণমুদ্রা সত্যি বলে প্রমাণ করে দিল। গবেষণায় তাই উঠে এসেছে। ফলে এতদিনের প্রচলিত ধারনা গেল ভেঙে।
তিনি ছিলেন সেনা আধিকারিক। এমন কিছু পুরনো দিনের কথা নয়। যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় আড়াই শো বছর পরের কথা। তিনি একসময় ক্ষমতা দখলে এনে রাজসিংহাসনে বসেন। নিজের রাজপাটকে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁর মুখের ছবি দিয়ে স্বর্ণমুদ্রাও তৈরি করেন। যা ছিল সে সময় এই অঞ্চলের বিনিময় মাধ্যম।
তারপর কেটে যায় বহু বছর। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রোমানিয়ায় এক জায়গায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় একটি স্বর্ণমুদ্রা। যাতে ওই রাজা স্পনসিয়ানের মুখ খোদাই করা ছিল।
যদিও সে সময় ওই স্বর্ণমুদ্রায় রাজা স্পনসিয়ানের মুখ একটি কল্পনা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের কয়েন বিশেষজ্ঞেরাও দাবি করেন এমন কোনও রাজা ছিলেননা। পুরোটাই একটা কল্পনা মাত্র।
সে সময় বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য সামনে আসার পর রোমান সাম্রাজ্যের দাসিয়া যা এখন রোমানিয়া নামে পরিচিত, সেখানকার রাজা স্পনসিয়ান একটি কাল্পনিক চরিত্র হয়ে যান। সেই ধারনাই এতদিন পর্যন্ত ছিল যে এমন কোনও রাজাই ছিলনা।
এদিকে মাটি খুঁড়ে যে স্বর্ণমুদ্রাটি উদ্ধার হয়েছিল তা এখন গ্লাসগোর হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামে রয়েছে। সেটি নিয়ে এক ব্রিটিশ গবেষক পল পিয়ারসন মাইক্রোস্কোপের তলায় ফেলে গবেষণা শুরু করেন। তারপরই তিনি দাবি করেন স্বর্ণমুদ্রাটিও সেই সময়ের এবং এমন এক রাজা ছিলেন।
এতদিন ধরে যে রাজাকে কাল্পনিক বলে মনে করা হত, পলের গবেষণা তাঁকে সত্যি করে দিল। আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যও প্রমাণ করে দিল স্পনসিয়ান কোনও কল্পনার রাজা নন, বাস্তবে তিনি ছিলেন।