চৌকো গুহায় থরে থরে সাজানো চৌকো পাথর, কেমন করে সেটাই রহস্য
গুহা বললেই চোখের সামনে যে ছবিটা ফুটে ওঠে তা গোলাকৃতি। চৌকো নয়। চৌকো বাড়ি হয়, গুহা নয়। কিন্তু এ গুহা চৌকো। ভিতরের সাজানো পাথরও চৌকো।
গুহা বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে আছে। অধিকাংশই প্রকৃতি নিজে হাতে তৈরি করেছে। প্রকৃতির তৈরি সব গুহাই গোলাকৃতি হয়। বাড়ির দরজা, জানালার মত চৌকো হয়না। গুহামুখ যেমন গোলাকার হয়, তেমনই গুহার মধ্যে প্রবেশ করলেও দেওয়ালের ঢাল গোলাকার হয়। চৌকো নয়।
চৌকো করতে গেলে তার ভিতর মানুষকে ছেনি হাতুড়ি ব্যবহার করতে হবে। জোর করে চৌকো বানাতে হবে। কিন্তু পৃথিবীতে এমনও এক গুহা রয়েছে যা চৌকো। এ গুহার প্রবেশদ্বার বেশ বড়। তবে তাও চৌকো।
ভিতরে প্রবেশ করলে বাড়ির সিলিং, দেওয়াল আর মেঝের মত একটা চৌকো আকৃতি স্পষ্ট। এমনকি গুহার মধ্যে যে গায়ে গায়ে লেগে থাকা পাথর থরে থরে সাজানোর মত দেখতে, সেগুলিও চৌকো। এ গুহার অনেকটা সমুদ্রের জলে ভরে থাকে। একটি দ্বীপে রয়েছে এই গুহা।
স্কটল্যান্ডের স্টাফা দ্বীপে মানুষ থাকেনা। তবে সেখানে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আনাগোনা লেগে থাকে। আর তার কারণ একটাই। এই আজব গুহা নিয়ে গবেষণা।
এমন গুহা কেউ কখনও দেখেননি। প্রকৃতির হাতে তৈরি এ এক আশ্চর্য। তা পর্যবেক্ষণ করতেই এখানে গবেষকেরা হাজির হন। তবে এখানে সাধারণ মানুষ যান না। তাঁদের যেতেও দেওয়া হয়না।
তাই এই গুহা চর্মচক্ষে দেখার সুযোগ কম। ছবি অনেক রয়েছে। তা দেখেও অবাক চোখে চেয়ে থাকতে পারেন প্রকৃতির আশ্চর্য উপভোগ করতে চাওয়া মানুষজন।