Entertainment

নিঃশব্দে পৃথিবীকে চিরবিদায় জানালেন জেমস বন্ড

চলে গেলেন জেমস বন্ড ০০৭। এটাই বলছে গোটা বিশ্ব। তিনি স্যার টমাস শঁ কনারি। তবে তাঁকে সকলেই চিনতেন জেমস বন্ড হিসাবেই।

এডিনবারা : ঘুমের মধ্যে চিরবিদায় নিলেন পর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় জেমস বন্ড স্যার টমাস শঁ কনারি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। অবশেষে শনিবার চলে গেলেন শঁ কনারি। রেখে গেলেন তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়।

স্কটিশ এই অভিনেতা জেমস বন্ড ০০৭ চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন। জেমস বন্ড ছাড়াও তিনি একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।


তবে শঁ কনারি সিনেমা জগতসহ গোটা বিশ্বের কাছে বেঁচে রইলেন জেমস বন্ড হিসাবে। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্ব সিনেমা জগত শোকাহত। শোকাহত তাঁর অগুনতি অনুরাগী।

১৯৬২ সালে জেমস বন্ড সিনেমা ‘ডক্টর নো’ দিয়ে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন শঁ কনারি। আত্মপ্রকাশেই মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেন জেমস বন্ড যেন সত্যিকারের এক সিক্রেট এজেন্ট।


জেমস বন্ড মানে শঁ কনারি, এটা ডক্টর নো-তেই মানুষের মনে গেঁথে যায়। এরপর এক এক করে জেমস বন্ড সিনেমা করে যান তিনি। ১৯৬৩ সালে ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ, ১৯৬৪ সালে গোল্ডফিঙ্গার, ১৯৬৫ সালে থান্ডারবল, ১৯৬৭ সালে ইউ ওনলি লিভ টুয়াইস, ১৯৭১ সালে ডায়মন্ডস আর ফরএভার এবং ১৯৮৩ সালে নেভার সে নেভার এগেন-এ তাঁর অভিনয় গোটা বিশ্বে তাঁকে জেমস বন্ড করে তুলেছিল। ১৯৮৩ সালের পর অবশ্য আর জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেননি শঁ কনারি।

জেমস বন্ড না করলেও ১৯৮৩ সালের পর একের পর এক হিট সিনেমা দিয়েছেন শঁ কনারি। মারনি, মার্ডার অন দ্যা ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, দ্যা ম্যান হু উড বি কিং, আ ব্রিজ টু ফার, হাইল্যান্ডারস, দ্যা নেম অফ দ্যা রোজ, দ্যা আনটাচেবলস, দ্যা হান্ট অফ রেড অক্টোবর, ড্রাগন হার্ট, দ্যা রক-এর মত একের পর এক সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মন জয় করেছে। ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের একটি সিনেমায় তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে। ২০০৬ সালে সিনেমাকে বিদায় জানান শঁ কনারি।

স্যার টমাস শঁ কনারি ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এক স্কটিশ দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। সেখান থেকে নিজের প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে শঁ কনারি নিজেকে অন্যতম সেরা এক স্কটিশ করে তোলেন।

জীবনে অস্কার ছাড়াও জিতেছেন ২টি বাফটা পুরস্কার, ৩টি গোল্ডেন গ্লোব সহ প্রচুর পুরস্কার ও সম্মান। তিনি চলে গেলেন ঠিকই, তবে শঁ কনারি কোনওদিন হারিয়ে যাবেননা। তিনি চিরদিন সকলের মনে বেঁচে থাকবেন জেমস বন্ড ০০৭ হয়েই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button