শেষ হল যমে মানুষে টানাটানি। পুরুলিয়ার সূচবিদ্ধ ৩ বছরের শিশুকন্যাকে বাঁচাতে পারলেন না এসএসকেএম-এর চিকিৎসকেরা। তবে লড়াই শেষ পর্যন্ত চালিয়ে গেছেন তাঁরা। দেহের মধ্যে গেঁথে থাকা ৭টি সূচও বার করেছিলেন জটিল অস্ত্রোপচার করে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঠেকাতে পারেননি তাঁরা। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন মাল্টি অরগান ফেলিওরে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মৃত্যু হল শিশুটির।
অভিযোগ, শিশুটির মায়ের আশ্রয়দাতা সনাতন ঠাকুরের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হতে হয় তাকে। এর পিছনে তন্ত্রসাধনাও থাকতে পারে। সেখান থেকেই ৭টি সূচ শিশুটির দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের অনুমান এই সূচ সনাতনই শিশুটির দেহে প্রবেশ করায়। জ্বর ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত ১৫ জুলাই শিশুটিকে পুরুলিয়া থেকে এনে এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়েছিল। পুলিশ সনাতন ঠাকুরকে খুঁজছে। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা সে।