অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা করতে হাসপাতালে এসেছিলেন প্রৌঢ়া নমিতা বণিক। ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকায় স্বামীকে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল। সেই উত্তর দিনাজপুর থেকে আসছেন, তাই স্বামীকে ফেরালেও হাসপাতালে নিজের কয়েকদিন ধরে চলা বুকে ব্যথার চিকিৎসাটা করিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন নমিতাদেবী। ছেলেকে সঙ্গে করে হাসপাতালের চিকিৎসককে দেখাতে যান তিনি। সেই যাওয়াই কাল হল তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকের ভুলের মাশুল হিসাবে জীবন দিতে হল নমিতা দেবীকে। এমনটাই দাবি মৃত মহিলার ছেলের।
তিনি জানিয়েছেন, গত ১৩ ডিসেম্বর উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে তাঁর বাবাকে ডাক্তার দেখাতে কলকাতার এসএসকেএমে আসেন তাঁরা। মৃতার ছেলের অভিযোগ, বুকে ব্যথার কারণ জানতে তাঁর মাকে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন এসএসকেএমের এক চিকিৎসক। পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার পরে বেরিয়ে মহিলার হৃদযন্ত্রে কোনও ব্লকেজ নেই বলে পরিবারের সদস্যদের জানান ঐ চিকিৎসক। সমস্যা নেই, অথচ তাঁর মাকে ঐ চিকিৎসক ছেড়েও দিচ্ছেন না। সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসককে চেপে ধরেন নমিতা দেবীর ছেলে ও স্বামী।
ঘণ্টা ৩ পর যখন নমিতাদেবীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বার করা হয় তখনই তাঁর হাত কনকনে ঠান্ডা। সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে কারণ জানতে চান ছেলে। তখনই পরীক্ষার সময় নমিতা দেবীর ধমনী ছিঁড়ে গেছে বলে স্বীকার করেন চিকিৎসক। ঐ চিকিৎসকের নির্দেশেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর মায়ের অস্ত্রোপচার করানো হয় বলে দাবি মৃতার ছেলের। কিন্তু তারপরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি নমিতাদেবীর। অস্ত্রোপচারের ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে নমিতা দেবীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় পরিবারের কাছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবার।