হাততালি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড বিস্ময় বালকের
কত জোরে হাততালি দেওয়া যায়, আর কত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়, এই নিয়েই দিনরাত ডুবে থাকত শিশুটি। জেদ চেপে গিয়েছিল, যে করেই হোক রেকর্ড তাকে গড়তেই হবে।
বয়স মাত্র ৯। এই বয়সে ছেলেপুলেদের সাধারণত ঝোঁক থাকে খেলাধুলোর দিকে। তা সেই খেলা ইনডোর হোক বা আউটডোর। তবে সেভেন ওয়েডের খেলাধুলার থেকে বেশি আগ্রহ ছিল ড্রাম বাজানোর দিকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা প্রদেশের মায়ামির সেভেন তার পরিবারের সঙ্গে থাকে। আসলে ছোটবেলা থেকে চোখের সামনে সে তার পরিবারের সদস্যদের ড্রাম বাজাতে দেখে এসেছে। তাই ড্রাম বাজানোর দিকে তার ঝোঁক ছিল খুবই স্বাভাবিক।
ড্রামের দ্রুত লয়ের ছন্দ একসময় দারুণ পরিকল্পনার জন্ম দেয় সেভেনের মাথায়। ড্রামের ছন্দের ক্ষিপ্রতাকে সে তুলে আনে তার ২ হাতের তালুতে।
কত জোরে হাততালি দেওয়া যায়, আর কত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়, এই নিয়েই দিনরাত ডুবে থাকত সেভেন। তার মনে জেদ চেপে গিয়েছিল, যে করেই হোক মার্কিন তরুণ এলি বিশপের রেকর্ড তাকে ভাঙতেই হবে। হারাতে হবে মিনিটে ১০২০টি তালি দিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলে ফেলা বিস্ময় বালককে। সেই ইচ্ছাপূরণের পথে সেভেন পাশে পায় তার বাবা চিকাকো ওয়েডকে।
বাবার পরামর্শে রোজ দিনে ৩ বার আর সপ্তাহে ৫ দিন করে ঘড়ির কাঁটা দেখে শুরু হয় সেভেনের কঠিন সাধনা। বিশেষ কায়দায় তালি মারার যন্ত্রণাদায়ক অনুশীলনের ফলও সে পায় হাতেনাতে।
গিনেস বুকের আধিকারিকদের চোখ ছানাবড়া করে দিয়ে ঝড়ের গতিতে হাততালি দিয়ে সে ভেঙে দেয় এলির বিশ্বরেকর্ড। মিনিটে ১০৮০টি তালির বলে অসাধ্যসাধন করে ফেলে ৯ বছরের সেভেন।
তার সেই বিস্ময় তালির ভিডিও সম্প্রতি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এরমধ্যে নজর কেড়েছে দুনিয়াবাসীর। হাততালির ছোট্ট জাদুকরের এহেন পরিশ্রম ও অধ্যবসায়কে কুর্নিশ না জানিয়ে পারেননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বতন তালি সম্রাট এলিও।