২০০৪ সালে মুম্বইয়ের আলিবাগের সমুদ্রতট সংলগ্ন অঞ্চলে জমি কিনেছিলেন শাহরুখ খান। অবশ্য নিজের নামে নয়। ‘দেজা ভ্যু’ ফার্ম হাউজের মালিক মোরেশ্বর আজগাওঙ্কর। ফার্ম হাউজের অধীনে সেই জমিতে চাষবাস করার পরিকল্পনাই ছিল। অন্তত জমি কেনার কাগজপত্র সে কথাই বলছে। কিন্তু কোথায় কি? জমিতে শস্যের বদলে একসময় গজিয়ে ওঠে এক বিলাসবহুল বাংলো। যার আয়তন ১৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটার। কি নেই সেখানে? দামি দামি আসবাবের কথা ছেড়ে দিন। বাংলোয় আছে সুইমিং পুল, কৃত্রিম সমুদ্রতট, হেলিপ্যাড, আরও কত কি। সেই বাংলোর মালিক কে? বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। অন্যের নামের জমি নিজে ভোগ করায় শাহরুখের উপর অনেক আগেই নজর পড়েছিল আয়কর দফতরের। গত বছরে এই নিয়ে জবাবদিহিও চাওয়া হয়েছিল অভিনেতার কাছে। কিন্তু আলিবাগের জমি নিয়ে শাহরুখের কাছ থেকে কোনও প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পাননি আয়কর আধিকারিকরা।
তাই এবারে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল আয়কর দফতর। আলিবাগের জমিকে ‘বেনামি’ সম্পত্তি হিসেবে ‘অ্যাটাচ’ করল তারা। কৃষিকাজের জন্য কেনা অন্যের জমিতে ‘বাংলো’ গড়ে উঠল কেন? এই প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর ৯০ দিনের মধ্যে না দিতে পারলে বড়সড় আইনি জটিলতার মুখে পড়বেন শাহরুখ। বেনামি সম্পত্তি ওই বাংলো হাতছাড়া তো হবেই, এই ‘অপরাধ’ প্রমাণিত হলে বিপুল জরিমানাসহ হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে অভিনেতার। সামনেই আইপিএল যজ্ঞ। তার আগে এই ‘শিরে সংক্রান্তি’-র মোকাবিলা কিভাবে করেন ‘বাজিগর’, সেদিকেই চেয়ে তাঁর উদ্বিগ্ন ভক্তকুল থেকে দেশবাসী।