বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ ও টেস্ট সিরিজ খেলতে চলেছে ভারত। ভারতেই হবে এই ম্যাচগুলি। আগামী ৩ নভেম্বর দিল্লিতে টি-২০ ম্যাচ দিয়ে সিরিজ হবে শুরু। ফলে আর হাতে গোনা কটা দিনের অপেক্ষা। বাংলাদেশও কোমর বেঁধে তৈরি। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় ভরসা ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে তাদের খেলতে আসতে হচ্ছে। ফলে দল অনেকটাই দুর্বল হবে। কারণ সাকিব আল হাসানকে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি ২ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে ব্যান করেছে।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি বছর দুয়েক আগে এক ক্রিকেট বুকির ফোন পেয়েছিলেন ম্যাচ গড়াপেটার জন্য। সাকিব সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। কিন্তু এমন প্রস্তাব যে তাঁর কাছে এসেছিল তাও আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখাকে জানাননি। যা নিয়ম বহির্ভূত এবং শাস্তিমূলক। আইসিসি ওই বুকির ফোন কলের রেকর্ড থেকে সাকিব এমন ফোন পেয়েছিলেন বলে জানতে পেরে তাঁকে তলব করে। সেখানে অবশ্য সাকিব স্বীকারও করে নেন যে তিনি এমন ফোন পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি হননি।
এই পরিস্থিতিতে আইসিসিকে বিষয়টি না জানানোর অপরাধে সাকিবকে ২ বছরের জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সাকিব এর মধ্যেই শাস্তির মেয়াদ ১ বছর কমিয়ে ফেলেছেন। কারণ তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। ফলত তাঁকে আরও এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে তিনি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে ফিরতে পারবেন। এখন দেখার যে সাকিব শাস্তি কমানোর জন্য আইসিসি-র কাছে আবেদন জানান কিনা। আর সেই আবেদন হাতে পেলেও আইসিসি শাস্তি কমায় কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা