বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বলতম মুখ সাকিব আল হাসান। এশিয়ার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। আগরওয়াল বলে এক ক্রিকেট বুকির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়। ম্যাচ গড়াপেটার অফারও দেয় আগরওয়াল। কিন্তু তা গ্রহণ করেননি সাকিব। তাঁকে ৩ বার এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করে আগরওয়াল। ৩ বারই তার অফার নাকচ করেন সাকিব।
সবই ঠিক ছিল, কিন্তু তাঁর সঙ্গে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে এক বুকি যোগাযোগ করছে একথা তিনি আইসিসি-র দুর্নীতিদমন শাখাকে জানাননি। আর সেই অপরাধেই প্রথমে তাঁকে ২ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করে আইসিসি। পরে সাকিব তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ৩টি অভিযোগ মেনে নিলে তাঁর শাস্তি কমিয়ে ১ বছর করা হয়। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে সাকিব ফের দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন।
এই নির্বাসন কিন্তু সাকিবের কেরিয়ারে একটা দাগ ফেলেই দিল। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে তিনিই ২০১৭ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি-র সদস্য হন। ২ বছরে তিনি মিটিংয়েও ছিলেন। নির্বাসিত হওয়ার পর এমসিসি-র এই সদস্যপদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন সাকিব। তাঁর সরে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেন কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যাটিং। পাশাপাশি অবশ্য সাকিবের সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন তিনি।
ভারত সফরে আসছে বাংলাদেশ। ভারতে টি-২০ ও টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। ইডেনে খেলবে গোলাপি বলে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্ট। সেখানে সাকিবেরই বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করার কথা। কিন্তু এই নির্বাসন তাঁকে এসব থেকে দূরে করে দিল। যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেকেই সাকিবের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, সাকিব না জানিয়ে দোষ করে থাকলেও প্রতিবারই গড়াপেটার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটাকে ভাল চোখে দেখছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা