সকালে সুপ্রিয়া দেবীর মত নক্ষত্রকে হারিয়েছে বাংলা সিনেমা জগত। সেই শোকের আবহ কাটার আগেই সন্ধেয় বাংলা সিনেমার আর এক প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার জীবনাবসান হল। যখন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্যের আগে সুপ্রিয়াদেবীকে গান স্যালুট দেওয়া হচ্ছে। ঠিক তখনই বাগবাজারের একটি নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা রূপোলী পর্দার এক সময়ের ডাকসাইটে অভিনেতা শম্ভু ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। গত ২৭ ডিসেম্বর থেকেই নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। ১৮ জানুয়ারি থেকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। তখনই কার্যত দিন গোনা শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। অবশেষে শুক্রবার সন্ধেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সাধারণত খলনায়কের চরিত্রে তাঁকে সিনেমার পর্দায় দেখে অভ্যস্ত দর্শকরা। কিন্তু নিজের অভিনয় প্রতিভায় মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন শম্ভু ভট্টাচার্য। ২০০৩ সালে চুড়িওয়ালা সিনেমায় শেষ পর্দায় আত্মপ্রকাশ। তারপর কেটে গেছে ১৫টা বছর। কিন্তু এখনও মানুষের হৃদয়ে অম্লান তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। সিনেমার পাশাপাশি মঞ্চেও সমান দক্ষতায় কাজ করে গেছেন বহু বছর। সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ছিলই। শম্ভু ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর সন্ধেয় পৌঁছনোর পর ফের একবার শোকের ছায়া নেমে আসে টলিপাড়ায়। সন্ন্যাসী রাজা সিনেমায় সুপ্রিয়া দেবী ও শম্ভু ভট্টাচার্য একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তাঁরা চলেও গেলেন একই দিনে।