বলিউডের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কদিন আগেই অকালে চলে গেলেন শ্রীদেবী। এবার পরপারে পাড়ি জমালেন ‘খুদা গওয়াহ’ ছবিতে শ্রীদেবীর সহঅভিনেত্রী শাম্মি আন্টি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের জুহুতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে শোক প্রকাশ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জয় দত্তের বোন প্রিয়া দত্তসহ আরও অনেকে।
১৯৩১ সালে এক পার্সি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাম্মি আন্টি। বলিউড তাঁকে এই নামে চিনলেও তাঁর আসল নাম নার্গিস রাবাড়ি। সেই সময় রুপোলী পর্দায় জাঁকিয়ে রাজ্যপাট সামলাচ্ছেন আরেক নার্গিস। পরিচালক তারা হরিশ বলিউডে নবাগত অষ্টাদশী নার্গিসের নাম পাল্টে রাখলেন শাম্মি। ১৯৪৯ সালে ‘উস্তাদ পেড্রো’ নামের ছবি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেন শাম্মি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। চলচ্চিত্র ও টেলিপর্দায় চুটিয়ে কয়েক দশক ধরে কাজ করে গেছেন তিনি। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সুলতান আহমেদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সুন্দরী শাম্মি। বিয়ের পর সংসার সামলানোর পাশাপাশি চুটিয়ে বলিউডে অভিনয় চালিয়ে যান। মা, দিদিমা, খলনায়িকা বা কৌতুক চরিত্র, সবেতেই অভিনয় গুণে তিনি চিনিয়ে দেন তাঁর জাত। তবে কৌতুক চরিত্রে তাঁর সহজসরল অভিনয় জয় করে নেয় ভারতীয় দর্শকের মন। ‘দ্যা বার্নিং ট্রেন’, ‘খুদা গওয়াহ’, ‘পূরব অউর পশ্চিম’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’, ‘গোপী কিষাণ’, ‘দিল’, ‘রঙ্গিলা’ সহ প্রায় ২০০টির ওপর ছবিতে অভিনয় করেছেন শাম্মি আন্টি। ‘দেখ ভাই দেখ’, ‘জবান সামহালকে’, ‘শ্রীমান শ্রীমতী’র মত জনপ্রিয় সিরিয়ালও ছিল তাঁর অভিনয়ের ঝুলিতে। ২০১৩-য় শেষবারের মত তাঁকে দেখা যায় রুপোলী পর্দায়। বোমান ইরানি ও ফারহা খান অভিনীত ‘শিরিন ফারহা কি তো নিকল পড়ি’ ছবিতে। সেটাই ছিল তাঁর অভিনয় জীবনের শেষ কাজ।