কোনও বাড়িতে দরজা নেই, তালাচাবি কাকে বলে জানেননা গ্রামবাসীরা
এ এমন এক গ্রাম যে গ্রামের কারও বাড়িতে দরজা নেই। অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই গ্রামের মানুষ তাঁদের ঘরে তালাও লাগান না।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বাড়িতে চুরি হয়। বাড়ি থেকে ১ মিনিটের জন্য বার হওয়ার হলেও গৃহস্থ কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দরজায় তালা দিয়ে বার হন। বারবার দেখে নেন জানালা, দরজা কোথাও খোলা রয়ে গেল কিনা।
আর যদি তা হয় তাহলে বাড়ি থেকে অনেক জিনিস উধাও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। এমনকি দরজা, জানালা বন্ধ করে সদরে তালা ঝুলিয়েও চুরি আটকানো যাচ্ছেনা। এমন যখন পরিস্থিতি তখন কোনও বাড়ির বাসিন্দারা কি ভাবতে পারেন যে তাঁদের বাড়িতে দরজাই থাকবে না! কিন্তু এটাই তো হচ্ছে।
১ দিন, ২ দিন নয়, গত ৩০০ বছর ধরে একটা গ্রামের কোনও বাড়িতে দরজা নেই। সে গ্রাম ভারতেই রয়েছে। মহারাষ্ট্রের শনি শিঙ্গনাপুর গ্রামে কোনও বাড়ির দরজা নেই। এমনকি এ গ্রামের দোকানদাররা দোকান খোলা ফেলে রেখেই রাতে বাড়ি ফিরে যান।
সকালে এসে তাঁদের দোকান খুলতে হয়না। খোলা দোকানেই ফের ব্যবসা শুরু করেন। সারারাত খোলা পড়ে থাকা দোকানে একটাও জিনিস চুরি হওয়ার কোনও ঘটনা এখানে ঘটেনি। কোনও বাড়িতে চুরির কোনও ইতিহাসও কারও জানা নেই।
এই গ্রামের মানুষ শনিদেবের ভক্ত। তাঁরা বিশ্বাস করেন বড়ঠাকুর বা শনিদেব তাঁদের গ্রামকে রক্ষা করেন। ফলে এখানে বাড়িতে দরজা রাখার প্রয়োজন নেই।

দরজা না থাকলেও কিছু বাড়িতে পর্দা ঝুলতে দেখা যায়। তার কারণ দরজা না থাকায় ঘরের মধ্যেটা পুরো দেখা যায়। মহিলারাও ঘরে থাকেন। তাই কিছু ঘরে পর্দা ফেলা থাকে মাত্র।