পঞ্চভূতে বিলীন কবি, চিরদিনের জন্য রয়ে গেল কবিতা
কবি একদিন কালের নিয়মে চলে যান। কিন্তু কালের বেড়া ডিঙিয়ে তাঁর কবিতা বেঁচে থাকে অনন্ত কাল। সমৃদ্ধ করে মানুষের ভাবনাকে, ভাষাকে।
একটা তারা যেন খসে গেল আকাশের বুক থেকে। চলে গেলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়দের সেই যুগে বাংলাভাষাকে কবিতা দিয়ে যাঁরা সমৃদ্ধ করেছিলেন তাঁদের এক তারকা অবশ্যই ছিলেন শঙ্খ ঘোষ।
সেই তারকাও এদিন বিলীন হয়ে গেলেন পঞ্চভূতে। এক মহাশূন্যের সৃষ্টি করে গেলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। গত ১২ এপ্রিল থেকে সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন কবি। পরে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
একান্তে করোনা বিধি মেনেই তাঁকে রাখা হয়েছিল বাড়িতে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শঙ্খ ঘোষ। বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো ছিলই। তার ওপর করোনার থাবা এক মহাজীবনের সমাপ্তি ঘটাল।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ১৯৩২ সালে বাংলাদেশে জন্ম শঙ্খ ঘোষের। পড়াশোনায় ছিলেন যথেষ্ট পারদর্শী। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন বাংলাভাষা নিয়ে। তারপর অধ্যাপনায় যোগ দেন।
তাঁর জীবনাবসানে শোক ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী। কবি চেয়েছিলেন তাঁর অন্ত্যেষ্টি হোক অত্যন্ত সাধারণ ভাবে। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে কোনও গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় মৃত্যু হয় তাঁর। পরে তাঁর দেহ সল্টলেকে তাঁর ভাইয়ের বাড়ি হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা মহাশ্মশানে।
সেখানে করোনা বিধি মেনেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কবি শঙ্খ ঘোষের মৃত্যু বাংলা সাহিত্যে এক অপার শূন্যতার সৃষ্টি করল।