বাথরুম থেকে উদ্ধার দেহ, ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু
বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হল বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের দেহ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
কলকাতা : বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শর্বরী দত্ত। তাঁর উদ্ভাবনী ভাবনা বারবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর ভাবনা বাংলার নারী ও পুরুষের ফ্যাশন ভাবনাকেই অনেকটা বদলে দিয়েছে। সাধারণ জীবনে তার ছাপ পড়েছে। বদলেছে পোশাকের ধরণ। বদলেছে নিজেকে মেলে দরার ট্রেন্ড।
বরং নতুন ট্রেন্ড তৈরি করে দিতে শর্বরী দত্তের তুলনা ছিলনা। সনাতনি পোশাককে আধুনিক করে তোলা, তাকে ট্রেন্ডি করে তুলেছিলেন শর্বরী। রঙিন ধুতির চল যার মধ্যে অন্যতম। বাংলার এই বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারের দেহ পাওয়া গেল তাঁর বাথরুম থেকে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ব্রড স্ট্রিটে তাঁর বাড়ির বাথরুমে পড়েছিল দেহটি। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর এই মৃত্যু কতটা স্বাভাবিক বা এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শর্বরী দত্তের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁর পরিচিতরা জানাচ্ছেন তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। পারিবারিক কিছু সমস্যাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তা মৃত্যুর যথেষ্ট কারণ নাও হতে পারে। তাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের সকলের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।
শর্বরী দত্তের মত প্রতিভাময়ী এক ফ্যাশন ডিজাইনারের এই মৃত্যু বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ার জন্য বড় ক্ষতি। একথা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই।
বাংলা থেকে উঠে আসা ফ্যাশন দুনিয়ায় বিখ্যাত মুখের সংখ্যা কমই। তাঁদের মধ্যে শর্বরী দত্ত এমন একটা নাম যিনি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বের ফ্যাশন দুনিয়ার আঙিনায়।
বাংলা চলচ্চিত্রেও তাঁর ফ্যাশন ট্রেন্ড সিনেমার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বাংলা সিনেমায় তাঁর ডিজাইন করা ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করে দিত। তেমন একজন মানুষের এমন অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। শোকস্তব্ধ ফ্যাশন দুনিয়া।