হোলির দিন বাড়ি ফিরে দেখতেন মাথা ভর্তি শামুক, স্মৃতিতে ডুবলেন শর্মিলা ঠাকুর
শর্মিলা ঠাকুর নামটা বাংলা থেকে বলিউড, সর্বত্রই একসময় প্রথমসারিতে থাকা নায়িকা হিসাবে উচ্চারিত হত। একের পর এক হিট সিনেমার নায়িকা ফের ফিরছেন পর্দায়।
তিনি সত্যজিৎ রায়ের খোঁজ, তিনি বাংলা সিনেমার একটা অধ্যায়, তিনি বলিউড সিনেমার চিরদিন মনে রাখার মত এক নায়িকা, তিনি মনসুর আলি খানের ঘরণী, সইফ আলি খানের মা এবং তিনি শর্মিলা ঠাকুর।
দীর্ঘদিন যিনি সিনেমার রূপোলী জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। তবে তিনি ফের ফিরলেন। ৭৮ বছর বয়সে ফিরলেন তাঁর নতুন সিনেমা ‘গুলমোহর’ দিয়ে। সেই শর্মিলা ঠাকুর জানালেন তাঁর হোলির দিনের অভিজ্ঞতার কথা।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সিনেমার এই কিংবদন্তি নায়িকা জানান, কলকাতার দোলখেলা তাঁর মনে আছে। কলকাতায় পাগলের মত দোলখেলা হত। এমনকি ভাংও খাওয়া হত। তবে তিনি সাহস করেননি।
ছোটবেলায় শর্মিলা হোলি খেলতেন তাঁদের ত্রিপুরার বাড়িতে। সেখানে চুটিয়ে রং খেলার পর তাঁরা সকলে যেতেন স্নান করতে। স্নান করতে যেতেন কাছের একটি পুকুরে। সেখানে স্নান করে বাড়ি ফেরার পর দেখতেন তাঁর মাথায়, জামাকাপড়ে শামুক লেগে আছে। সেও এক মজা ছিল।
এমনকি তিনি যখন সিনেমার জন্য মুম্বই চলে আসেন তখন তাঁর ভাড়া বাড়িতেও তাঁর বন্ধুরা রং খেলতে হাজির হতেন। সেবার সেখানে রং হচ্ছে। তার মধ্যেই বন্ধুরা হাজির।
শর্মিলা বলেন, তিনি বারবার বন্ধুদের মানা করেন ওখানে রং খেলতে। কারণ সেটা অন্য কারও বাড়ি। তা নোংরা করা উচিত নয়। কিন্তু বন্ধুরা শোনেননি। সে স্মৃতিও ভাগ করে নেন শর্মিলা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা