বরফের গোলার আঘাত সহ্য করেই পৌঁছতে হল সেটে, সে অভিজ্ঞতা ভোলেননি শর্মিলা ঠাকুর
হোটেল থেকে বার হয়ে সেটের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ঘটে ঘটনাটা। সে অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।
সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরেই সিনেমার জগতে পা রাখা। তারপর বাংলার গণ্ডি পার করে বলিউড। শর্মিলা ঠাকুরকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সাফল্যের পর সাফল্যের হাত ধরে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা নায়িকা।
রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটিতে সুপারহিট সিনেমাগুলির একটি অবশ্যই দাগ। যশ চোপড়ার প্রযোজক হিসাবে বলিউডে দাগ দিয়েই ডেবিউ হয়। সেই সিনেমার ৫০ বছর পূর্ণ হল।
এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সিনেমার নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। সেই সিনেমার শ্যুটিংয়ের একটা অংশ হয়েছিল সিমলায়। সেখানে একদিন শ্যুটিংয়ের সময়ের অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেননি এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
শর্মিলা ওই অনুষ্ঠানে জানান, সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি তাঁর হোটেলের ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন সিমলা সাদা বরফের পুরু চাদরে ঢেকে গেছে। চারিদিকটা ছবির মত সুন্দর লাগছে।
কিন্তু এটাও বুঝতে পারেন যে বরফ পড়ার ফলে গাড়ি আর আসতে পারবেনা। হোটেল থেকে সেট পর্যন্ত হেঁটেই যেতে হবে। সেইমত মেকআপ, চুল, সাজগোজ সব সেরে তিনি হোটেল থেকে বার হন। তারপর বরফের ওপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন।
তখনই তাঁর ওপর আছড়ে পড়ে একটি বরফের গোলা। যা বড়ও ছিল। আর ছোঁড়াও হয়েছিল সজোরে। ফলে বেশ জোরেই লাগে তাঁর।
রেগে গিয়ে শর্মিলা কড়া প্রতিবাদ করতে ঘুরে দাঁড়ান। দেখেন কয়েকটি বাচ্চা মেয়ে তাঁকে দেখে খুব হাসছে। শর্মিলা কড়া কথা আর বলতে না পেরে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এমনটা করতে নেই।
কিন্তু তারা কান না দিয়ে জানায়, এটা তো তাদের খেলা, তাই তারা এমন করেই খেলবে। শর্মিলার আর প্রতিবাদ করার উপায় ছিলনা। বরং সেট পর্যন্ত যেতে যেতে বেশ কয়েকটা গোলা তাঁর ওপর এমনভাবে আছড়ে পড়ে।
পাল্টা শর্মিলাও কয়েকটা বরফের গোলা বানিয়ে ওই বাচ্চাগুলোর দিকে মজা করে ছুঁড়ে দেন। সেই ঘটনার কথা আজও ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা