শনিবারের বিরোধী শক্তি প্রদর্শনের ব্রিগেডে যদি একটা বড় চমক ছিল, তবে তা ছিল শত্রুঘ্ন সিনহা। কারণ একেবারেই বিজেপি বিরোধী এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি অবশ্য বারবারই দলে থেকেও বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেনি বিজেপি। তিনিও বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। যদিও কানাঘুষো বলছে এদিন ব্রিগেডের সভায় উপস্থিতির পর তাঁর দলে জায়গা হবে কিনা বলা মুশকিল। সেই বিদ্রোহী শত্রুঘ্ন সিনহার গলায় এদিন আদ্যন্ত ছিল মোদী বিরোধী বক্তব্য।
তিনি শুরুতেই বলেন বোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তিনি ছুটে চলে এসেছেন। দেশ ও সংবিধান বাঁচাতে ছুটে এসেছেন। এই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনের ডাক দেন শত্রুঘ্ন। তিনি নিজে বিজেপি নেতা হয়েও কেন এমন একটা সভায়? প্রশ্নটা যে উঠবে তা জেনেই বেশ শক্তিশালী বাগ্মী হয়ে ওঠা শত্রুঘ্ন বলেন, তিনি সত্যের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারবেননা। যদি সত্য বলা ভুল হয় তাহলে তিনি বিদ্রোহী। এদিন নোটবন্দিকে তুঘলকি ফরমান বলে দাবি করেন তিনি। শত্রুঘ্ন দাবি করেন, নোটবন্দির কথা দলের অনেকেই জানতেননা। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মত নেতারাই জানতেন না। তিনি বিরোধীশক্তিকে আরও মজবুত করার ডাক দেন।
বিজেপি সরকারেই একসময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা যশবন্ত সিনহা বলেন, এখন যা অবস্থা তাতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বললেই তাঁকে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে। এদিন তিনিও একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় লড়াইয়ের ডাক দেন। একসময়ে বিজেপি সরকারে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সামনে আসা অরুণ শৌরিও এদিন উপস্থিত ছিলেন। তিনিও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।