আগেই ঘোষণাটা হয়ে গিয়েছিল যে ৬ এপ্রিল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সেইমত শনিবার সকালে কংগ্রেসে যোগ দিলেন এই অভিনেতা সাংসদ। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও রণদীপ সূরজেওয়ালা-র উপস্থিতিতে এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের মুখ্য কার্যালয়ে কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন শত্রুঘ্ন। সম্ভবত এরপর কংগ্রেসের টিকিটেই তিনি বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে লড়বেন। যেখানকার বিজেপি সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও এবার তাঁকে টিকিট না দিয়ে সেখান থেকে রবিশঙ্কর প্রসাদকে প্রার্থী করে বিজেপি।
কংগ্রেস যোগ দেওয়ার আগে এক আবেগমথিত ট্যুইটে শত্রুঘ্ন জানান পুরনো দল ছাড়ার এই সময়ে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। তাঁর হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। তবে কেন তিনি বিজেপি ছাড়লেন তা সকলেরই জানা। এমন একটা দিনে তিনি বিজেপি ছাড়লেন যেদিন বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। তিনি আরও বলেন, দলের কারও সম্পর্কে তাঁর খারাপ ধারণা নেই। তিনি বিজেপিতে থেকেই রাজনীতিতে তৈরি হয়েছেন। ভারতরত্ন নানাজি দেশমুখ, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান। সেইসঙ্গে জানান, তাঁর পথপ্রদর্শক, সর্বোচ্চ নেতা, গুরু তাঁর কাছে লালকৃষ্ণ আডবাণী।
এদিন খোঁচার সুরেই শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, এখন বিজেপি ওয়ান ম্যান শো আর টু ম্যান আর্মি। যেখানে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। কোনও মন্ত্রী নিজের ইচ্ছাতে কিছু করতে পারেননা। তিনি দেখেছেন গণতন্ত্র কীভাবে স্বৈরতন্ত্রে বদলে গেল। লালকৃষ্ণ আডবাণী, যশবন্ত সিনহা, যশবন্ত সিং-র মত নেতাদের বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব কোণঠাসা করে দিয়েছেন বলেও ঘুরিয়ে বোঝান শত্রুঘ্ন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)