এখানে ঢেউয়ের তালে শিগমো মানেই রংয়ের উৎসব, চলে ২ সপ্তাহ
এ প্রান্তে সাদা ফেনার মত ঢেউ চুম্বন করে যায় সোনালি বালুকাবেলা। সেখানে ফাগুনে মানুষ মাতেন রংয়ের উৎসবে। এখানে শিগমো মানেই রংয়ের খেলা, রংয়ের মেলা।
দোল বা হোলি মানেই তো রংয়ে রংয়ে রঙিন হয়ে ওঠা। সেই রংয়ের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত নন এই সমুদ্র পারের মানুষজনও। এখানেও ফাগুন বড়ই রঙিন। ১ দিন নয়, ১৪ দিন ধরে রং এখানে মানুষকে জড়িয়ে থাকে।
এখানকার বাসিন্দাদের সমুদ্রের ধারে বাস, বারোমাস। সামনের অকুল সমুদ্রের পেটে যে মাছেরা খেলে বেড়ায় তারাই এঁদের অন্নদাতা। মাছই বাঁচিয়ে রেখেছে এখানকার মানুষগুলোকে। প্রধান জীবিকার নাম তাই মাছ ধরা। তবে কৃষিকাজও কিছু হয়।
সেখানে প্রতি মুহুর্তে আছড়ে পরা তরঙ্গের মাঝে বছরভরের নিস্তরঙ্গ জীবনে রংয়ের ছোঁয়া আনে বসন্ত। বসন্তের প্রকৃতির মতই এই মানুষগুলোর সাদাকালো জীবন হয়ে ওঠে রঙিন। রংয়ের খেলা এখানেও হয়। গোয়ার সমুদ্র পারের মানুষগুলো যেমন গায়ে রং মাখেন তেমনই তাঁদের মর্মেও লাগে রংয়ের ছোঁয়া।
গোয়ায় এই রংয়ের উৎসবের নাম শিগমো। শিগমোর আবার ২টি ভাগ। একটি ‘ঢাকটো শিগমো’ বা ছোট শিগমো আর অন্যটি ‘ভাদলো শিগমো’ বা বড় শিগমো। ঢাকটো শিগমোর রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন এখানকার কৃষকরা। আর বাকিরা মেতে ওঠেন ভাদলো শিগমোয়।
এখানে ফাগুন মানে কিন্তু শুধুই রং খেলা নয়। রংকে জীবনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা। তাই এখানে ১৪ দিন ধরে চলা শিগমোয় নাচ, গান, আনন্দ, লোকগান, রাস্তায় নেমে রঙিন সাজে কার্নিভাল সবেতেই মেতে ওঠেন মানুষজন। সেইসঙ্গে মৎস্যজীবীরা তাঁদের নৌকাগুলি রঙিন করে তোলেন ধর্মীয় ও পুরাণের বিভিন্ন মোটিফে।
গোয়ার মানুষজনের উৎসবে রংয়ের বাহার বিখ্যাত। সেই বাহার আরও রঙিন হয়ে ওঠে রংয়ের উৎসব শিগমোতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা