দক্ষিণ কলকাতার ম্যুর অ্যাভিনিউতে থাকতেন তিনি। সেখানেই রবিবার ভোর ৬টায় মৃত্যু হল তাঁর। চলে গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শোভা সেন। একসময়ে মঞ্চে যাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি, অসামান্য অভিনয় প্রতিভা বহু মানুষকে মুগ্ধ করেছিল। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
উৎপল দত্তের স্ত্রী শোভা সেন নিজ প্রতিভাগুণেই ছিলেন পরিচিত। বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম। বেথুন স্কুল থেকে স্নাতক। এরপর গণনাট্য আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন নাটকে অভিনয় দিয়ে আত্মপ্রকাশ। এরপর মঞ্চে দাপটের সঙ্গে অভিনয়। লিটল থিয়েটার গ্রুপে যোগদান। নাটকের পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমায় তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে। কাজ করেছেন ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, উৎপল দত্তের মত প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে।
শোভা সেনের মৃত্যুতে ট্যুইটারে শোকব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভা সেনের মৃত্যু বাংলার মঞ্চ জগতে একটা বড় শূন্যস্থান তৈরি করল বলেই মনে করছেন অনেকে। তিনি দেহ দান করে গিয়েছিলেন। তাই অন্ত্যেষ্টি নয়, তাঁর দেহ এদিন দান করা হয় এনআরএস হাসপাতালে।