প্রয়াত বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ শ্যামল চক্রবর্তী
চলে গেলেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। করোনা পজিটিভ নিয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
কলকাতা : চলে গেলেন সিপিএম নেতা তথা বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ শ্যামল চক্রবর্তী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৩ অগাস্ট থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। তাঁর কিডনির সমস্যাও ছিল। ফলে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। এরমধ্যেও ডায়ালিসিস হয়। বৃহস্পতিবারও ডায়ালিসিস হয়। তারপরই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। ফলে করোনার চিকিৎসাও চলছিল। সেইসঙ্গে তাঁর ফুসফুসেও সংক্রমণ ছিল। সে চিকিৎসাও চলছিল।
কয়েকদিন আগে জ্বর ও ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে প্রথমে উল্টোডাঙার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেকথা তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। সেখানে তাঁর কোভিড পরীক্ষাও হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তারপরই তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে সরিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তারপর গত রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় সোমবার। তারপর আর ভেন্টিলেশন থেকে বার হওয়া হল না তাঁর। চলে গেলেন বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের এক অন্যতম পুরোধা। বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটু-র অন্যতম মুখ ছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। এই সিপিএম নেতা চিরদিন বাম শ্রমিক আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাম শ্রমিক আন্দোলনে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছনোর পরই বাম মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেক সিপিএম তথা বামপন্থী নেতা শোক ব্যক্ত করেন। এর আগে তাঁর মেয়ে জানিয়েছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী কেমন আছেন সেকথা জানতে চেয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। সেই শ্যামল চক্রবর্তী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। যেহেতু তাঁর কোভিড পজিটিভ ছিল তাই তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ সৎকার সরকারি নিয়ম মেনেই করা হবে।