জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্রে কালো হয়ে গেল সমুদ্রের জল
সমুদ্রের জলকে নীল বলেই সকলের জানা। বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মন ভরে যায়। সেই নীল সমুদ্রের জল হঠাৎ কালো হয়ে গেল এই পর্যটনক্ষেত্রে।
সমুদ্র অনেকের প্রিয়। ভারত সহ বিশ্বজুড়ে অনেক সমুদ্র মহাসমুদ্র তার অনন্ত জলরাশি নিয়ে নিজের মত করে বিরাজ করছে। বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের ধারে বালুকাবেলার অভাব নেই। সব দেশেই সমুদ্র ধারের পর্যটন এক বড় আকর্ষণ। নীল সমুদ্রের ধারে বিদেশে যেমন জলে স্নান থেকে রৌদ্র স্নান, অবসর কাটানো, পিকনিক সব কিছুই চলে তেমন ভারতেরও বিভিন্ন সমুদ্রতটে পর্যটকের ভিড় সারাবছর লেগে থাকে।
এসবই সেই সমুদ্রের টানে। সোনালি বালুকাবেলার টানে। নীল সমুদ্রের অসীম ব্যাপ্তি, অগুন্তি ঢেউয়ের অপরিশ্রান্ত লহরী পর্যটকদের ক্লান্ত জীবনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। অক্সিজেনে মন ভরিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সমুদ্রের জল যদি আচমকা কালো হয়ে যায়! তখন কি আর মন ভাল থাকে!
ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে একটি নেদারল্যান্ডসের জাহাজের কারণে। জাহাজটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে সিঙ্গাপুরের একটি জ্বালানি ভর্তি জাহাজে। যার জেরে সমুদ্রে জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে।
মনে করা হচ্ছে কম করে ৪০০ টন জ্বালানি তেল মিশে গেছে সমুদ্রের জলের সঙ্গে। এতটাই জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ে যে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দ বলে খ্যাত সিঙ্গাপুরের দক্ষিণভাগের সমুদ্রতট এখন পর্যটক শূন্য হয়ে গেছে।
কি হবে সেখানে গিয়ে! চারধারে যতদূর চোখ যাচ্ছে সমুদ্রের জল কালো হয়ে গেছে তেল পড়ে। এখন তাই জল থেকে তেলকে আলাদা করার কাজ শুরু হয়েছে।
এই তেল ছড়িয়ে পড়া সামুদ্রিক মাছ থেকে জলজ জীবনের প্রভূত ক্ষতি করেছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব তেল জল আলাদা করে সিঙ্গাপুরের এই পর্যটনক্ষেত্রকে ফের তার পুরনো রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। তবু সেন্টোসা দ্বীপে থাকা পর্যটকরা সমুদ্রের কালো জলের পাশাপাশি তেলের গন্ধে টিকতে পারছেন না।