মলত্যাগ করতে গিয়েই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই প্রাণির
এমন কোনও প্রাণি আছে কি যারা মলত্যাগ করেনা! নেই কারণ এটা একটা স্বাভাবিক প্রকৃতিগত নিয়ম। কিন্তু এই মলত্যাগই মৃত্যু ডেকে আনে এক ধরনের প্রাণির জীবনে।
মলত্যাগ তো সব প্রাণিই করে থাকে। এর পরিমাণ আবার প্রাণি ভেদে ভিন্ন হয়। যেমন জায়ান্ট পান্ডারা যে পরিমাণ বাঁশ খায় তার প্রায় অনেকটাই মলত্যাগ করে বার করে দেয়। তেমনই এক ধরনের প্রাণি এ পৃথিবীতে রয়েছে যারা সপ্তাহে ১ বার মাত্র মলত্যাগ করে।
এই সপ্তাহে ১ বার যখন তারা মলত্যাগ করে তখন তারা তাদের শরীরের মোট ওজনের এক তৃতীয়াংশ ওজনের মল ত্যাগ করে। ফলে তাদের ওজন মলত্যাগের পর অনেকটাই কমে যায়।
এরা সাধারণত গাছে বসবাস করে। তবে সপ্তাহে ১ বার যখনই মলত্যাগের সময় আসে তখন তারা গাছ থেকে নেমে আসে। মাটিতে নেমে না এলে তাদের মলত্যাগ শুরু হয়না।
আবার মলত্যাগের আগে তারা মাটিতে নেমে প্রথমে নাচের ভঙ্গিতে একটা ছোট গর্ত করে। তার মধ্যে মলত্যাগ করে। তারপর তা পাতা দিয়ে ঢেকে তারপর গাছে চড়ে।
এই প্রাণি মলত্যাগ করার সময় আবার বেশ অনেকটা সময় শরীরটাকে বেশি নাড়াচাড়া করতে পারেনা। মলত্যাগে কিছুটা সময় লাগে। আর সেটাই তাদের মৃত্যু লিখন।
এমনিতেই মাটিতে খুবই ধীর স্লথদের এই মলত্যাগের সময় হাতের মুঠোয় পেয়ে অন্য প্রাণি এসে তাদের শিকার করে। তাদের হত্যা করে। স্লথ নামে এই প্রাণিগুলির তাই মলত্যাগেই লুকিয়ে আছে মৃত্যু লিখন।
অথচ স্বাভাবিক শারীরিক নিয়মেই তাদের মলত্যাগ তো করতেই হয়। আর সেটা করতে যেই তারা গাছ থেকে নামে, আর মলত্যাগ করে, ঠিক তখনই তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্য হিংস্র প্রাণি, বিশেষত বনবিড়াল।
তাই মলত্যাগ করতে গিয়েই অর্ধেক স্লথ প্রাণ হারায় বলে মনে করছেন গবেষকেরা। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে এই স্লথদের দেখতে পাওয়া যায়। দারুণ সাঁতারু স্লথদের সারাদিনের অধিকাংশ সময়টাই ঘুমিয়ে কেটে যায়।