বিশ্বকে স্নুকার খেলা শিখিয়েছিল ভারত, সে এক আকর্ষণীয় কাহিনি
বর্ধিষ্ণু খেলা হিসাবে পরিচিত স্নুকার। এই খেলা কিন্তু বিশ্বকে উপহার দিয়েছিল ভারত। ভারতেই তৈরি হয় এই খেলা। কীভাবে, সেও এক কাহিনি।
ভারতে আজও আমজনতার খেলা হয়ে উঠতে পারেনি স্নুকার। মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যেই এই খেলার প্রচলন আছে। বর্ধিষ্ণু সমাজের খেলা বলেই তার পরিচিতি। একটি বড় বোর্ডের ওপর নানা রংয়ের বল। ৬টি পকেট ও ১টি স্নুকার স্টিক। যা দিয়ে বল ঠেলে পকেটে পাঠাতে হবে।
শুনে যতটা সহজ মনে হচ্ছে খেলাটা অতটাও সহজ নয়। এই স্নুকার খেলা দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেননা কোনও একসময় এ খেলা ভারতে তৈরি হয়েছিল। বিশ্বকে স্নুকার খেলা শিখিয়েছিল কিন্তু এই ভারত।
সময়টা ১৮৭৫ সাল। ব্রিটিশ শাসনের অধীন ভারত। সে সময় মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে একটি ব্রিটিশ সেনা ছাউনি ছিল। যেখানে ব্রিটিশ সেনা আধিকারিকরা মেসে বসবাসও করতেন। সেখানেই থাকতেন নেভিল চেম্বারলিন নামে এক ব্রিটিশ সেনা আধিকারিক।
তিনি একদিন জব্বলপুরের ওই মেসে সময় কাটানোর জন্য কয়েকটি রঙিন বল নিয়ে একটি বোর্ডের ওপর রেখে নতুন কিছু খেলার চেষ্টা করেন। যা জন্ম দেয় এক নতুন খেলার। যা বিশ্বজুড়ে এখন এক অন্যতম খেলা হিসাবে পরিচিত।
সেদিন চেম্বারলিনের হাত ধরে অকস্মাতই যে খেলার জন্ম হয়েছিল সে খেলায় ভারতীয় প্রতিভা পেতে তারপর ১০০ বছর কেটে যায়। তবে এখন ভারতেও স্নুকার খেলোয়াড়ের অভাব নেই।
স্নুকার ছাড়াও এখন পুল এবং বিলিয়ার্ডস খেলা হয়। একইরকম দেখতে হলেও প্রতি খেলার নিয়ম আলাদা। বলের সংখ্যা বা বোর্ডের সাইজও আলাদা হয়।