আকাশে দেখা যেতে চলেছে চিনি চাঁদ, কখন দেখা যাবে
আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই সন্ধের আকাশে দেখা যাবে চিনি চাঁদ। সেদিন চাঁদ একটি নয়, ধরা দেবে নানা রূপে।

চাঁদ নিয়ে মানুষের একটা কল্পনা সর্বদাই কাজ করে। চাঁদে এখন যান ঘুরে বেড়ায়। সেখানে মানুষের জন্য নানা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যেই পৌঁছতে শুরু করেছে। সেই চাঁদ কিন্তু আজও কবি মনে এক প্রেমের স্পর্শ।
জ্যোৎস্নার আলো আজও মানুষের মনকে হারিয়ে দেয় স্বপ্নের জগতে। সেই চাঁদ পূর্ণিমার দিন এক উজ্জ্বল গোলকের রূপ নেয়। প্রতিটি পূর্ণিমার একটি গুরুত্বও রয়েছে। যেমন আসন্ন পূর্ণিমা বঙ্গ জীবনে দোল পূর্ণিমা।
সেই রংয়ের দিনে সন্ধে নামলে আকাশে দেখা যাবে পূর্ণিমার চাঁদ। যাকে চিনি চাঁদ নামেও ডাকা হয়। আবার এই চাঁদকে অনেকে পোকা চাঁদও বলে থাকে।
উত্তর পূর্ব আমেরিকার নানা আদিবাসী গোষ্ঠী পূর্ণিমার চাঁদের নানা নাম দিয়েছে। যেমন তারা মার্চ মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ডাকে চিনি চাঁদ বলে। আবার তাদেরই একটি গোষ্ঠী মার্চে পূর্ণিমা চন্দ্রকে ডাকে পোকা চাঁদ বা কাক চাঁদ নামে।
দোলের দিনের পূর্ণিমার চাঁদ সেদিন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের কবলেও পড়বে। সে সময় লাল হবে চাঁদের রূপ। যাকে লাল চাঁদ বলা হচ্ছে। যদিও এই চন্দ্রগ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবেনা।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যখন সকাল থেকে দুপুর রং খেলায় মেতে উঠবেন, সে সময় পৃথিবীর অন্য প্রান্তে থাকবে অন্ধকার। আর সেই অন্ধকার আকাশে সেখানকার মানুষ প্রাণভরে চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশের মানুষ, পশ্চিম ইউরোপে বসবাসকারীরা এবং পশ্চিম আফ্রিকায় বসবাসকারী বাসিন্দারা এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন।