মেঘ যে বড় বাধা হতে পারে তার পূর্বাভাস আগেই ছিল। হল তো হল বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণের দিনই মেঘে ঢাকা পড়ল আকাশ। তাও অসময়ে। ভরা পৌষে মেঘে ঢাকা আকাশ কখনই কাঙ্ক্ষিত নয় মানুষের কাছে। তাও আবার এই বর্ষশেষের আনন্দের মাঝে। সেই মেঘে এদিন সূর্য কখনও ঢাকা পড়েছে। কখনও মুখ বাড়িয়েছে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত মানুষ সকাল ৮টার পর থেকেই আকাশে মাঝেমধ্যেই উঁকি দিয়েছেন। কখনও চোখে পড়েছে সূর্য। কখনও তা মেঘে ঢাকা।
কলকাতায় সূর্যগ্রহণ চলেছে ৩ ঘণ্টা। তারমধ্যে ৯টা ৫৩ মিনিটে সূর্যকে সবচেয়ে বেশি চাঁদে ঢাকা পড়তে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত কলকাতায় কিন্তু চাকতি চাকতি মিলে হিরের আংটি তৈরি হয়নি। এখানে হয়েছে আংশিক সূর্যগ্রহণ। বরং প্রায় তার কাছাকাছি দেখা গেছে দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশ থেকে। কেরালা, তামিলনাড়ুর কিছু অংশ ও কর্ণাটকের কিছু এলাকা থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে। সূর্যের পূর্ণ বলয়গ্রাস দেখা গেছে দুবাই সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে।
কলকাতায় আংশিক গ্রাস দেখা গেলেও উৎসাহ আংশিক ছিলনা। একশো শতাংশ উৎসাহ নিয়ে তৈরি ছিল কলকাতা। বহু মানুষ গ্রহণ দেখার বিশেষ চশমা চোখে লাগিয়ে গ্রহণ দেখেছেন। তবে বেলা বাড়তে কলকাতার আকাশে মেঘ পুরু হয়। সূর্য হারিয়ে যায়। ফলে পুরো গ্রহণ অনেকেই দেখার সুযোগ পাননি। এদিন কিন্তু আংশিক হোক বা প্রায় পূর্ণ, ভারতের সব অংশ থেকেই গ্রহণ দেখা গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে গ্রহণ পর্ব।